উরি: বেশ কয়েক বছর আগে উরিতে পাকিস্তানের হামলার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়ে থাকে। শুক্রবার ফের রক্তাক্ত হয় সেই ঐতিহাসিক উরি। কাশ্নীরের উরি এবং গুরেজে পাকিস্তানি সেনার হামলায় শহিদ হয়েছেন ভারতীয় সেনার তিন জওয়ান৷ এর পাশাপাশি নিরীহ দুই গ্রামবাসীও নিহত হয়েছেন। এছাড়াও বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। এরই মধ্যে যে তিনজন নিহত হন, তার মধ্যে একজন নদিয়ার তেহট্টর এক বাঙালি জওয়ান রয়েছেন। দীপাবলির আগে ঘরের ছেলের মৃত্যুর খবর আলো নিভিয়ে দিল শহীদ জওয়ানের পরিবারে। আজ, রবিবার সেই শহীদ জওয়ানের কফিনবন্দি দেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হবে।
জানা গিয়েছে, শ্রীনগর থেকে দিল্লি হয়ে সেখান থেকে দমদম বিমানবন্দরে এসে পৌঁছবে শহীদ জওয়ানের কফিনবন্দি দেহ। তারপর সেখান থেকে পানাগর হয়ে দেহ নিয়ে যাওয়া হবে গ্রামের বাড়িতে। চার বছর আগে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন সুবোধ। স্ত্রীকে বলেছিলেন, সামনের মাসেই ছুটিতে বাড়ি আসবেন। কিন্তু, তা আর হয়ে উঠল না। ছুটিতে বাড়ি আসার আগেই কফিনবন্দি হয়ে বাড়ি আসছেন তিনি। অকালে বাড়ির ছেলের প্রাণ চলে যাওয়ায় পরিবারে কান্নার রোল উঠেছে। কয়েক বছর আগে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া সুবোধের সংসারে একটি ছোট ছ’মাসের মেয়ে রয়েছে। যার আগামী মাসেই মুখে ভাতের অনুষ্ঠানে ছুটি নিয়ে বাড়ি আসার কথা ছিল শহীদ বাঙালি জওয়ানের। কিন্তু সেই আশা আর পূরণ হল না।
শহীদ জওয়ানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে টুইট করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। এমনকি জওয়ানের শেষকৃত্যে উপস্থিত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে রাজ্যপালের। তিনি শহীদ জওয়ানের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন বলেও জানিয়েছেন।