বলিউডবিনোদন

বলিউড নিয়ে সমালোচনা করলেন সারা, মেয়েকে ট্রোল করে এই কথা বললেন বাবা সইফ

Advertisement

কয়েক বছর আগে ‘কেদারনাথ’ ফিল্মের মাধ্যমে বলিউডে পা রেখেছেন শর্মিলা ঠাকুর (sharmila tagore)-এর পরবর্তী প্রজন্ম সারা আলি খান (sara ali khan)। এই ফিল্মে তাঁর সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুত (sushant singh Rajput)। সেই সময় করণ জোহর (karan johar) সঞ্চালিত টক শো ‘কফি উইথ করণ’-এ বাবা সইফ আলি খান (saif Ali khan)-এর সঙ্গে এসেছিলেন সারা। ‘কেদারনাথ’ মুক্তি পাওয়ার আগেই শুটিং হয়েছিল ‘কফি উইথ করণ’-এর এই বিশেষ পর্বটির। করণের প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হচ্ছিলেন সইফ ও সারা।

একসময় করণ সারাকে জিজ্ঞাসা করেন,বোটক্স ও ফিলারের মতো স্কিন ট্রিটমেন্ট মেইনটেইন করার ক্ষেত্রে কতটা চাপ থাকে! সারা বলেন, নিজেকে গ্রুমিং করার একটা চাপ তো অবশ্যই থাকে এবং এই স্কিন ট্রিটমেন্টগুলি ত্বকে পুষ্টি জোগানোর সাথে সাথে মনকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। এই প্রসঙ্গে কথা বলার সময় সারা বলেন, আত্মবিশ্বাসী না হলে সবাই তাঁকে নিচু করার চেষ্টা করবে। তবে ট্রোল হওয়া তাঁর কাছে কোনো বড় ব্যাপার নয় বলেও জানান সারা। এর মাঝেই সইফ মার্কিন শিল্পী ব্রিজিত বার্দো (brijit bardo)-এর নাম করেন যাঁর কাছে বয়স শুধুই ছিল একটি সংখ্যা। কিন্তু সারাকে সইফ ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে জাজমেন্টাল হতে বারণ করেন। সারা বলেন, এটা কি অস্বীকার করা যায় যে একজন নিউকামারকে হেয়ার, মেকআপ, পিআর, ম্যানেজমেন্ট টিম কেউই ট্রোল করতে ছাড়ে না। তখন সইফও সারার এই কথায় সায় দেন। কারণ ‘কফি উইথ করণ’-এর এই পর্বে সইফ নিজের কথা না বললেও সবাই জানেন, সইফকে একসময় ইন্ডাস্ট্রি যথেষ্ট নিচে করেছে।

সইফের সুন্দর চেহারার জন্য তাঁকে একসময় বিদ্রুপ করে ‘শেফালি খান’ নামে ডাকা হতো। ইন্ডাস্ট্রির রাজনীতির শিকার হয়ে সইফও একসময় কর্মহীন হয়ে পড়েছিলেন। মানসিক ডিপ্রেশনের শিকার হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিলেন সইফ। সেইসময় তাঁর বাবা মনসুর আলি খান পতৌদি (Mansoor Ali khan pataudi) হয়ে উঠেছিলেন সইফের সবচেয়ে বড় সাপোর্ট সিস্টেম। একসময় ট্রেন্ড বদলাতে শুরু করে। সইফও নিজেকে গ্রুমিং করতে থাকেন। ধীরে ধীরে তাঁর হাতে কাজ আসতে থাকে। এভাবেই ইন্ডাস্ট্রিতে উত্থান ঘটে সইফ আলি খানের মতো শক্তিশালী অভিনেতার।

Related Articles

Back to top button