ঈদের সঙ্গে সলমনের নতুন ছবি মুক্তি একটা অঙ্গাঙ্গী বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বলিউডে। তবে গতবছর করোনা ভাইরাসের জন্য কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি। তবে এবছর করোনা পরিস্থিতিতে ঈদের দিন ভারতে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পায় ‘রাধে – ইওর মোস্ট ওয়ান্টেড ভাই’। প্রায় ২ বছর পর সলমানের সিনেমা মুক্তি পাওয়ায় এই সিনেমা নিয়ে ভাইজানের ফ্যান আর অন্যান চিত্রপ্রেমীদের অনেক আশা ছিল। তবে রাধে কোনোভাবে কোনো আশা করতে পারেনি। এই সিনেমার বিঢয়বস্তু, প্রতিস্থাপনা, অভিনয় কোনো কিছুই দর্শকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেনি। এই ছবি মুক্তির পর নানান বিতর্কে নাম জড়িয়েছেন ভাইজান স্বয়ং।
এবার ছবির খারাপ সমালোচনা করেছিলেন কামাল আর খান। এবার তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেছেন স্বয়ং সলমন। নিজের একটি ইউটিউব চ্যানেলে আছে যেখানে তিনি বিভিন্ন সিনেমার রিভিও করেন। তেমনই রাধে ছবির সমালোচনা মূলক ভিডিও পোস্ট করেছেন তাঁ র ইউটিউব চ্যানেলে শেয়ার করেন। তিনি বলেন, ভাইজান এই ঈদে ছবি রিলিজ করে দর্শকদের কাছে ছবি দেখার জন্যে ভিক্ষা চেয়েছেন। এছাড়া ভিডিওতে এরূপ একাধিক মন্তব্য করাতেই রেগে যান সলমন খান। এরপরেই মুম্বইয়ের এক আদালত কামালের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেছেন তিনি। মামলার পরেই একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয় কামালের কাছে।
তবে এবার ভাইজানের এই সিনেমার খারাপ রিভিউ দিলেন তাঁর বাডির সদস্য। অন্দরমহল থেকেই ভাইজানকে শুনতে হল এই সিনেমা একদমই ভালো হয়নি। সলমনের বাবা সেলিম খান নিজে একথা বললেন। সেলিম নিজে একজন বলিউডের সাফল্য গল্পকার ও চিত্রনাট্যকার। তিনি এক সাক্ষাৎকারে নিজের ছেলের সিনেমা নিয়ে কথা বললেন। তিনি বলেন, ‘রাধে’ সিনেমা মোটেই তাঁর পছন্দ হয়নি। তিনি আরো বলেন, সলমন অভিনীত ‘দবাং ৩’ অন্যান্য ছবির থেকে বেশ আলাদা ছিল। আর ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ তো রীতিমতো ভালো ছিলই। এই সিনেমা সম্পূর্ণ অন্য ধরণের গল্প থাকায় তাই তা ভালো লেগেছিল সেলিমের।
কিন্তু ছবি হিসেবে সলমানের ‘রাধে’ মোটেই দারুণ কিছু সিনেমা ছিলনা। তিনি জানালেন, কর্মাশিয়াল ছবির একটা বিশেষ দায় থাকে। সিনেমার সাথে যুক্ত সকলে যাতে পয়সা ফেরত পান, সেই ব্যপারে একটা দায়িত্ব থাকে। এই সিনেমাতে শিল্পী, প্রযোজক, ডিস্ট্রিবিউটর, এক্সিবিটর, শেয়ারের প্রত্যেক অংশীদারের টাকা ফেরত পাওয়া উচিত। তাহলেই এই সিনেমা তৈরির ব্যবসা চলবে। সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে সলমন সফল হলেও এই সিনেমার গল্প কিছুই ছিলনা। তবে তিনি এতে সলমনের কোনো দোষ দেখছেননা।
তিনি বলেন বর্তমানে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে ভালো গল্পকার এবং চিত্রনাট্যকারের বড়ই অভাব। সেলিমের আক্ষেপ করেই জানান, বর্তমান সময়ে বহু চিত্রনাট্যকাররা কেউই আর তেমন হিন্দি এবং উর্দু ভাষার সাহিত্য নিয়ে তেমন কোনো চর্চা করেন না। বাইরে থেকে অন্য কিছু দেখেই ছবির চিত্রনাট্য লেখা শুরু করে দেন। তিনি বললেন, ‘জঞ্জির’ ভারতীয় সিনেমার একটা মাইলফলক’। এই ছবি মুক্তির পর পর বর্তমান সময়ে সিনেমাকে নতুন দিশা দেখিয়েছিল সেই ছবি। অনেক বছর পেরিয়েছে তবু বলিইন্ডাস্ট্রি সেলিম-জাভেদ জুটির অন্য কোনও বিকল্প খুঁজে পায়নি এখন।