বিতর্ক! এই শব্দটি বলিউডের একজনের সাথে সর্বদা থেকেছে। তিনি আর কেউ নন। সলমন খান! কখনো কৃষ্ণসার হরিণ শিকার মামলা তো কখনো হিট অ্যান্ড রান মামলা। কয়েকবার জেলও খেটেছেন ভাইজান। তবু হাজার বিতর্কে নাম থাকলেও এ কথা কারুর অজানা নয় সলমন খানের মতো দিল দরিয়া মানুষ বলিউডে খুব কমজন আছেন। কোভিডের সময় হাজার হাজার মানুষের মুখে খাবার তুলে দিয়েছিলেন তিনি। এমনকি বন্ধুর খারাপ সময়েও পাশে দাঁড়াতে কুন্ঠাবোধ করেন না ভাইজান।
শাহরুখ খান এখন চরম বিপদে আছেন। বন্ধুর এই বিপদে রবিবার রাতে মন্নতে উপস্থিত হলেন সলমন খান। সাদা রঙের রেঞ্জ রোভার গাড়ি ছুটিয়ে এদিন মনমরা মন্নতে পৌঁছান ভাইজান। শাহরুখের বিলাসিতা বাংলোর বাইরে জড়ো হওয়া পাপারিজ্জদের ক্যামেরায় লেন্সবন্দি হন সলমন খান। এইদিন বেশ চিন্তিত দেখাচ্ছিল সলমনকে, কাছের বন্ধুর ছেলের গ্রেফতারিতে বেশ বিচলিত হয়ে উঠেছিলেন তিনি তা স্পষ্ট ভাইজানের চোখেমুখে।
রবিবার দিনভর নানান বিতর্কে থেকেছেন শাহরুখ খান ও গৌরি খান সৌজন্যে ছেলে আরিয়ানের মাদক মামলায় গ্রেফতার। টুইটার থেকে ফেসবুক সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই ছেলের কুর্কীতি আর গ্রেফতারির সুবাদে শাহরুখ খানকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পিছপা হচ্ছেন না নেটনাগরিকরা। তবে কিছুজন অভিনেতাকে অপরাধী,নানান মিম করলেও এস আর কে ভক্তরা প্রিয় অভিনেতার পাশে আছেন। টুইটারে পালটা ক্যাম্পেন শুরু করেছেন শাহরুখ অনুরাগীরাও। এখন টুইটার ট্রেন্ডিং হয়েছে ‘WE LOVE SHAH RUKH KHAN’ হ্যাশট্যাগ।
মন্নতের বাইরে এদিন সকাল থেকেই পাপারিজ্জদের ভিড়। তবে খুব বেশি কাউকে দেখা যায়নি। বিকালের দিকে শাহরুখের বাংলো থেকে গাড়ি বেরিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পৌঁছেছিল। তবে এদিন দেখা মেলেনি শাহরুখ-গৌরীর। শাহরুখের ম্যানেজার এবং বডিগার্ড আর আইনজীবীদের দল মন্নতে পৌঁছায় আরিয়ানের ডিফেন্সে। শনিবার রাতে গোয়াগামী প্রমোদতরী থেকে মাদক-সহ আটক করা হয় ৮জনকে। সেই তালিকায় নাম উঠে আসে শাহরুখের বড় ছেলে আরিয়ান খানের। এনসিবির জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ের নেতৃত্বে এই অপারেশন চলে।
১৬ ঘন্টা টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর এদিন দুপুর ২টো নাগাদ গ্রেফতার করা হয় শাহরুখ খান ও গৌরী পুত্র। এনডিপিএস আইনের ৮সি, ২০বি, ২৭ এবং ৩৫ নম্বর ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে আরিয়ান খানকে। আরিয়ানের সাথে পাওয়া গিয়েছ নিষিদ্ধ মাদক ও নগদ ১ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা। ১৩ গ্রাম কোকেন, ২১ গ্রাম চরস, ২২টি এমডিএমএ পিলস সঙ্গে ছিল আরিয়ানের। রবিবার বিকালে জেজে হাসপাতালে মেডিক্যাল টেস্ট হয়, এরপর আরিয়ানকে আদালতে পেশ করা হয়। জামিনযোগ্য ধারাতেই এই স্টারকিডকে গ্রেফতার করেছিল এনসিবি।
কিন্তু বিস্তারিত তদন্তের জন্য আরিয়ানের ‘কাস্টডিয়াল ইন্টারোগেশন’-এর প্রয়োজন হয়েছে। আর সেই দাবি আদালতের সামনে পেশ করেছে কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সেইমতো একদিনের এনসিবি হেফাজত মঞ্জুর হয়েছে আরিয়ান। সোমবার আদালতে আরিয়ানের জামিনের আবেদন রাখবেন শাহরুখ খান।