বীরভূম: বিশ্বভারতীর মাঠে পাঁচিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে এখনো উত্তেজনার পরিস্থিতি বহাল রয়েছে বিশ্বভারতী প্রাঙ্গণে আর সেই অশান্তির প্রেক্ষিতে আজ শনিবার ক্যাম্পাসে গিয়ে তদন্ত শুরু করল শান্তিনিকেতন থানার পুলিস ও অন্যান্য পুলিস আধিকারিকরা। গত ১৭ অগাস্ট বিশ্বভারতীতে মেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে অশান্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। মেলার মাঠকে পাঁচিল দিয়ে ঘিরে দেওয়ার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে প্রচুর মানুষের সেদিন জমায়েত হয় বিশ্বভারতীতে। রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে কবিগুরুর এই স্বপ্নের প্রাণকেন্দ্র। এরপরই বহুবার এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে খবরের শিরোনামে আসতে দেখা যায় বিশ্বভারতীকে। সেই ঘটনারই তদন্ত শুরু হল এদিন।
অভিযোগ করা হয়েছিল ব্যাপক ভাঙচুর চলে বিশ্বভারতীতে। কাঁচের তৈরীর নির্মাণসামগ্রী নষ্ট করা হয়। মাঠের মধ্যে অস্থায়ীরূপে বানানো বিশ্বভারতীর একটি ক্যাম্প অফিস ভেঙে দেওয়া হয়। জেসিবি নিয়ে এসে বিশ্বভারতীর একটি ঐতিহ্যবাহী গেটও ভেঙে গুঁড়িয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। এই ঘটনায় রাজনৈতিক যোগের অভিযোগ পর্যন্ত ওঠে। শাসকদলের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়। যদিও শাসক দলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো রকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় না।
এমনকি প্রচুর বহিরাগতের আগমন ওইদিন ঘটেছিল বলেও দাবি করা হয়। সমস্ত ঘটনা খতিয়ে দেখছে শান্তিনিকেতন পুলিশ। কে বা কারা সেদিনকার ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত আছে, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। তবে কবে বিশ্বভারতী কান্ডের কিনারা হবে, তা নিয়ে একটা প্রশ্ন চিহ্ন আজও রয়ে গেল।