কলকাতার মেয়ে সায়ন্তনী ঘোষ (sayantani ghosh) মুম্বইয়ের মাটিতে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন বালাজি টেলিফিল্মস-এর জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘কুমকুম এক পেয়ারা সা বন্ধন’-এর মাধ্যমে। এরপর ‘নাগিন’, ‘বনু ম্যায় তেরি দুলহন’, ‘মহাভারত’-এর মতো অনেকগুলি সিরিয়ালে দেখা গেছে তাঁকে। সায়ন্তনী এই মুহূর্তে অভিনয় করছেন ‘সব টিভি’-র জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘তেরা ইয়ার হুঁ ম্যায়’-তে। এই সিরিয়ালে তিনি একজন পঞ্জাবি মহিলার ভূমিকায় অভিনয় করছেন। কিছুদিন আগেই সায়ন্তনী ইন্সটাগ্রামে একটি ‘কিউঅ্যান্ডএ’ সেশন অর্থাৎ প্রশ্নোত্তর পর্ব করেছিলেন। সেখানে এক নেটিজেন সায়ন্তনীকে জিজ্ঞাসা করেন, তাঁর ব্রায়ের সাইজ কত? এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই রেগে গিয়ে সায়ন্তনী বলেন, ওই নেটিজেনের বুদ্ধির মাপ বোধ হয় শূণ্য।
সম্প্রতি সায়ন্তনী সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও একবার এই প্রসঙ্গটি টেনে এনে বডি শেমিংয়ের প্রতিবাদ করেছেন। তিনি বলেছেন, অনেক পুরুষ মেয়েদের স্তনের মাপ জানতে চান। এমনকি নারীরাও অপর নারীর স্তন ছোট না বড় তা নিয়ে আলোচনা করেন যা বডি শেমিংয়ের সমান। সায়ন্তনী নিজেও একসময় বডি শেমিংয়ের শিকার হয়েছিলেন। কলকাতার বুকে মডেলিং শুরু করার সময় সায়ন্তনীর বয়স ছিল সতেরো-আঠারো। কিন্তু সায়ন্তনী স্লিম না হলেও খুব মোটা ছিলেন না। সেই সময় একটি ফটোশুটে সায়ন্তনীর স্তন নিয়ে একজন মহিলা কটু মন্তব্য করেছিলেন। এমনকি সায়ন্তনীকে তাঁর গায়ের রঙ নিয়েও কটুক্তি শুনতে হয়েছে। তাঁর স্তনের দিকে পুরুষরা একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকলেও প্রতিবাদ করতে পারেননি সায়ন্তনী।
কিন্তু এবার আর তিনি মুখ বুজে সহ্য করবেন না বলে জানিয়েছেন। সায়ন্তনীর মতে, প্রত্যেক মেয়ের উচিত নিজেকে ভালোবাসা। তাই বডি শেমিংয়ের উচিত জবাব দেওয়াটা খুব জরুরী। ক্রমাগত বডি শেমিংয়ের কারণে অনেক মেয়েই তাঁদের শরীর, বিশেষ করে স্তন নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগেন। কিন্তু এবার সময় এসেছে ঘুরে দাঁড়ানোর।