শুধু কি সাধারণ মানুষদের ক্রাশ থাকে? নাকি সেলিব্রেটিরা ক্রাশ খায়? এটা একটা বড় প্রশ্ন? না অভিনেতা-অভিনেত্রীরা ক্রাশ খান। অনেকে তা বুক ফুলিয়ে জনসমক্ষে বলেন। যেমনটা বললেন অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি প্রকাশ্যে নিজের ক্রাশের কথা বললেন। না বলিউড়ের কেউ নয় বরং টলিউডের এক জনপ্রিয় অভিনেতা। আর এই কথা নিজে বললেন সায়ন্তিকা।
অনেকদিন পর আবারও নিজের কাজে ফিরেছেন অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজা চন্দর পরিচালনায় অঙ্কুশ এর বিপরীতে মূল চরিত্রে অভিনয় করছেন সায়ন্তিকা। বেশ কয়েক মাস টলিউড থেকে অনেকটা দূরে ছিলেন তিনি। তবে এতদিন বাদে আবারও কাজে ফিরলেন। ফিরতেই জুটি বাঁধছেন অঙ্কুশের সঙ্গে। তবে প্রথমবার কাজের মাঝে ফাঁক পেতেই নিজের মনের কথা জানালেন সায়ন্তিকা।
নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশ ভালোই সক্রিয়। এবার সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নিজের ক্রাশের কথা বললেন। তিনি আরো বললেন এত বছর ধরে তার ক্রাশ একজবনউ এবং তিনি টলিউডের একজন সুপারস্টার অভিনেতা। আর এই অভিনেতাএ সঙ্গে সায়ন্তিকা নিজেও অভিনয় করেছেন, তার সঙ্গে ছবি পোস্ট করে সায়ন্তিকা এত দিনে মনের কথা জানালেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই অভিনেতা আর কেউ নন, টলিউডের বস জিৎ।
এই দিন সাদা কুর্তি আর নীল ডেনিম জিন্স পড়ে সুপারস্টাএ জিৎকে জড়িয়ে একটি ছবি পোস্ট করেছেন সায়ন্তিকা। সেখানেই ক্যাপশনে লিখেছেন, “আমার ফরএভার ক্রাশের সঙ্গে।” দুজনের হাসিমুখ ছবি দেখে বোঝাই যাচ্ছে, একে অপরের সঙ্গ পেয়ে দারুণ খুশি দুজনেই। এদিকে জিৎ আর সায়ন্তিকার একসঙ্গে ছবি দেখে অনেকের মনে কৌতুহল বাড়ছে তাঁদের অনুগামীদের মধ্যে। কমেন্টে লেখা হয়েছে, “আশা রাখছি খুব শীঘ্রই বড় কিছু খবর আসতে চলেছে।”
অর্থাৎ, একসঙ্গে নতুন কোনও ছবিতে আবারও তাঁদের একসঙ্গে দেখতে পাওয়া যাবে কিনা সেই জল্পনাই চলছে। এর আগে ‘আওয়াড়া’, ‘ বাঘ বন্দি খেলা’ ছবিতে জিৎের বিপরীতে দেখা গেছে সায়ন্তিকা। বাঘ বন্দী খেলার পর অভিনেত্রী নিয়েছিলেন লম্বা একটি ব্রেক। এতদিন বাদে কাজে ফিরতেই নিজের ক্রাশের সাথে দেখা মিললো। সম্ভবত এই ছবি জিৎের অফিসে গিয়ে তুলেছিলেন সায়ন্তিকা তবে খুব শীঘ্রই জিৎের প্রোডাকশনে বা জিৎের সঙ্গেই কি নতুন ছবির পরিকল্পনা চলছে সায়ন্তিকার? তা অবশ্য সময় বলবে তবে এই ছবি বেশ ভালোই ভাইরাল।
উল্লেখ্য, এইবছর একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন অভিনেত্রী। এরপরেই টিকিট পেয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে বাঁকুড়া থেকে নির্বাচনের লড়াইতে নাম লেখা সায়ন্তিকা। যদিও ভোটে তিনি জিততে পারেননি। কারণ হিসেবে উঠে এসেছিলেন দলের ভিতরের নানান বাদানুবাদ। যদিও বিধায়ক না হলেও সেখানকার মানুষের বিপদে বসে থাকেননি বরং করোনা আর যশ ঝড়ের পর সাধারণের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন সায়ন্তিকা।