করোনা মহামারির আতঙ্কে গৃহবন্দি সারা বিশ্ব। যার ফলে বেশ কিছু প্রাকৃতিক পরিবেশে ভারসাম্য ফিরে আসার ছবি সামনে আসছে। এর মধ্যেই এল খারাপ খবর। ওজন স্তরের গর্ত বাড়ছে ক্রমাগত। উত্তর গোলার্ধের এই মেরু ভল্লুকের দেশে এমন এক ভয়ানক কান্ড ঘটে যাওয়ায় আতঙ্কিত বিজ্ঞানীরা। হঠাৎ করে সুমেরু প্রদেশে ওজন গহ্বর সৃষ্টি কারণ নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীদের অনুমান, লকডাউনের আবহে বিশ্ব জুড়ে আর্থিক কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকায় বায়ুদূষণ কমছে। তবে ওজন গহ্বর সৃষ্টির সঙ্গে এর কোন সম্পর্ক নেই বলেই মনে করছেন তারা। আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের দাবি, সুমেরুর আকাশে বায়ুমন্ডলের উষ্ণতা হঠাৎ করে কমে যাওয়ার কারণে পোরাল ভর্টেক্স বা মেরু ঘূর্ণাবর্ত স্থিতিশীল হয়ে পড়েছে। তার উপর সুমেরুর বায়ুমন্ডলে ক্লোরিন ও ব্রোমাইন মতো বিষাক্ত গ্যাসের উপস্থিতি বাড়তে থাকায় ওজন স্তরের ক্ষয় বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে।
প্রসঙ্গত, সূর্য থেকে আগত ক্ষতিকর অতি বেগুনি রশ্মি আটকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই ওজন স্তর। যে কারণে বায়ুমন্ডলের এই স্তরকে প্রাকৃতিক সৌর পর্দাও বলা হয়। ফলে এই স্তরে গহ্বরের সৃষ্টি হলে বিপদ বাড়তে পারে পৃথিবীর। সুমেরু থেকে গহ্বর বাড়তে বাড়তে গ্রিনল্যান্ডের দক্ষিণ প্রান্তে এসে পৌঁছালে মারাত্মক ক্ষতির মুখোমুখি হতে হবে মানব সভ্যতাকে। তবে এখনই আশঙ্কার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। প্রাকৃতিক নিয়মেই কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই গহ্বর মিলিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তারা।