সেপ্টেম্বর মানেই উৎসবের মাস। বাংলার আকাশে পুজোর গন্ধ মেশা এই সময়টায় স্কুলপড়ুয়াদের মুখে হাসি লেগেই থাকে। কারণ পড়াশোনার চাপের ফাঁকেই মিলছে একের পর এক ছুটি। এ বছরও তার ব্যতিক্রম নয়। ইতিমধ্যেই সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকেই মিলাদ-উন-নব্বী উপলক্ষে স্কুলে ছুটি পড়েছিল। সামনে রয়েছে বিশ্বকর্মা পুজো, মহালয়া, দুর্গাপুজো থেকে লক্ষ্মীপুজো—প্রায় গোটা মাস জুড়েই স্কুল বন্ধের ঘোষণা হয়েছে।
উৎসব আর ছুটির ক্যালেন্ডার
সরকারি নিয়ম মেনে প্রতি বছরই পুজোর আগে ছুটির তালিকা প্রকাশ করা হয়। তাতে দেখা যাচ্ছে, এ বছরও সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকেই শুরু হচ্ছে একের পর এক ছুটি।
১৭ সেপ্টেম্বর: বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে ছুটি।
২১ সেপ্টেম্বর (রবিবার): মহালয়া, সেদিন থেকেই শুরু হবে পুজোর আবহ।
এরপর দুর্গাপুজো থেকে লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত টানা স্কুল বন্ধ থাকবে।
টানা প্রায় ১৫ দিনের বিরতি
সাধারণত পশ্চিমবঙ্গের স্কুলগুলোতে মহালয়া থেকে লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত বন্ধ থাকে। অনেক জায়গায় আবার পঞ্চমী থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ছুটি শুরু হয়। এ বছর সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে পড়ছে দুর্গাপুজো। ফলে টানা প্রায় ১০ দিন স্কুল বন্ধ থাকবে। এর সঙ্গে যোগ হলে মিলাদ-উন-নব্বী ও বিশ্বকর্মা পুজোর ছুটি, সেপ্টেম্বর মাসে প্রায় ১৫ দিনের বেশি পড়াশোনা থেকে বিরতি পাবেন ছাত্রছাত্রীরা।
পুরনো দিনের স্মৃতি আর বর্তমান নিয়ম
এক সময় পুজোর ছুটি মানেই এক মাসের বিরতি। স্কুল-কলেজ দীর্ঘদিন বন্ধ থাকত। তবে সময়ের সঙ্গে পাল্টেছে সেই নিয়ম। এখন আর এত দীর্ঘ ছুটি দেওয়া হয় না। বরং মহালয়া থেকে শুরু হয়ে লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত প্রায় আড়াই সপ্তাহের ছুটি দেওয়া হয়। পরে স্কুল খুলে গেলেও উৎসবের আমেজ থেকে যায় বেশ কিছুদিন।
সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও ছুটি
শুধু স্কুলই নয়, পুজোর সময় রাজ্যের ব্যাঙ্ক ও সরকারি দফতরও নির্দিষ্ট দিনগুলোতে বন্ধ থাকে। এতে একদিকে যেমন উৎসবের আবহ জমে ওঠে, অন্যদিকে দৈনন্দিন কাজের কিছুটা ব্যাঘাত ঘটে। তবে বাঙালির কাছে এই সময়টাই বছরের সেরা আনন্দের, তাই ছুটির তালিকা নিয়েই খুশির হাওয়া।
পড়ুয়াদের অপেক্ষা পুজোর দিনের
দুর্গাপুজোর ছুটি মানেই ছোটদের জন্য নতুন জামা, বড়দের জন্য আড্ডা আর সবার জন্য আনন্দ। স্কুলে বারবার ছুটির নোটিস পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের উচ্ছ্বাস আরও বেড়ে যায়। মহালয়া বাজতেই সেই অপেক্ষা শেষ হবে।













