ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করতেন মাদক, NCB-র জেরায় স্বীকার শ্রদ্ধা কাপুরের
শনিবার সকাল থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় দীপিকা পাড়ুকনকে। এনসিবি-র জেরায় দীপিকা জানান ওই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট তাঁর নিজের এবং তিনি নিজেই ওই গ্রুপের এডমিন। তবে দীপিকা সাফ জানিয়েছেন যে তিনি কখনো মাদক নেননি। কিন্তু মাদক তিনি চেয়েছেন একথা স্বীকার করেছেন।
আজ দীপিকার পাশাপাশি শ্রদ্ধা ও সারাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে এনসিবি-র আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, এনসিবি-র জেরায় শ্রদ্ধা কাপুর জানিয়েছেন, “সুশান্তকে আমি অনেকবার ড্রাগ নিতে দেখেছি, তবে আমি কখনও ড্রাগ নিইনি।” এদিকে দীপিকার মত শ্রদ্ধাও জয়া সাহার সঙ্গে মাদক চ্যাটের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন, এবং এও জানিয়েছেন যে তিনি মাদক নেননি তবে বাকিরা মাদক নিচ্ছিলেন।
আজকের জেরায় যারা এসেছিলেন তাঁরা রীতিমত হোমওয়ার্ক করেই এসেছিলেন। তাই প্রত্যেকের উত্তরের তালমিল একদম একই সুরে বাঁধা। কেউই মাদক নেননি। অথচ প্রতেকেই মাদক সংক্রান্ত মেসেজ আদানপ্রদান করেছেন তাঁদের ম্যানেজারদের সঙ্গে। এখন প্রত্যেকেই বলছেন সুশান্ত মাদক নিতেন। সারা আলি খান পর্যন্ত আজকের জেরায় বলেছেন যে তিনি নিজে কখনো মাদক ছুঁয়েও দেখেননি, কিন্তু সুশান্ত মাদক নিতেন। ঠিক এই একই কথা এখন রিয়া চক্রবর্তীর আইনজীবীও বলছেন।
View this post on Instagram
এনসিবি (NCB) চাইলে অনেক কিছুই পারে। কোয়ান ট্যালেন্ট কোম্পানি সম্পর্কে আদ্যোপান্ত জানার চেষ্টায় এনসিবি। এই অফিসের কর্মচারী ছিলেন জয়া সাহা। এই জয়া সাহার থেকেই শ্রদ্ধা কাপুর সিবিডি ওয়েল (CBD OIL) চেয়েছিলেন। এই মেসেজ ও অন্যান্য আরও তথ্য এনসিবি-র হাতে এলে শ্রদ্ধাকে চেপে ধরে আধিকারিকরা। শেষে জেরার মুখে শ্রদ্ধা কাপুর স্বীকার করেন ‘হ্যাঁ আমি ড্রাগ সেবন করতাম। সিবিডি ওয়েল ওষুধের মতো করে ব্যবহার করতাম।’ আমরা জানি সি বি ডি ওয়েল ব্যাথানাশক ঔষধ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাজ্যে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু এই দেশে তা নিষিদ্ধ। কারণ এটির মলিকিউল আমাদের শরীরের জন্য সঠিক নয়। তাছাড়া মার্কিন যুক্তরাজ্যেও এই ড্রাগ ব্ল্যাকে বিক্রি হয়। এদিন শ্রদ্ধা কাপুর এও জানিয়েছেন, ‘ ছিছোড়ে ছবির শ্যুটিংয়ে সুশান্তকে কখনও মেক-আপ ভ্যানে, কখনও শ্যুটিং ফ্লোরে ড্রাগ নিতে দেখেছেন তিনি। “