Sanidev Blessing: শনিদেবের কৃপায় হবেন কোটিপতি, বর্ষায় শনিদেবকে সন্তুষ্ট করতে করুন এই কাজ
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, শনিদেবকে ন্যায়ের দেবতা বলে মানা হয়। শনিবার ভক্তি ভরে এই দেবতার পূজো করতে হয়। বর্ষার সময় শনিবার ন্যায়ের দেবতার পূজোর গুরুত্ব বেড়ে যায় আরো। শাস্ত্র অনুযায়ী মানা হয়, শনিবার যদি বেশ কয়েকটি নিয়ম মেনেই শনিদেবতার পূজো করা হয়, তাহলে দ্রুত সন্তুষ্ট হন তিনি। উল্লেখ্য, মহাদেবের গুরু ছিলেন তিনি। এক্ষেত্রে মহাদেবভক্তদের উপর সর্বদা তার আশীর্বাদের হাত বিরাজমান থাকে। যদি বর্ষায় শনিদেবকে খুশি করতে চান তাহলে নিম্নোক্ত এই কটি কথা আবশ্যিকভাবে মেনে চলতে হবে।
১) কাককে খাবার খাওয়ানো- শাস্ত্র অনুযায়ী বিশ্বাস করা হয় শনিবার কাককে রুটি খাওয়ালে শনিদেব প্রসন্ন হন। মুক্তি মেলে কঠিন বড় সমস্যার হাত থেকেও। জীবনে আসা একাধিক বাধা-বিপত্তি ও ঝামেলাও দূর হয়।
২) শনি রক্ষা শ্লোক পাঠ- নিজের উপর শনিদেবের আশীর্বাদের হাত বজায় রাখতে প্রতি শনিবার শনি রক্ষা শ্লোক পাঠ করতে হয়। শ্লোক পাঠ অর্ধ সাড়ে সাতি ও ধাইয়া থেকে মুক্তি দেয়। পাশাপাশি যদি মন থেকে প্রার্থনা করা যায় তাহলে, জীবনে নেতিবাচক শক্তির প্রভাব কমে। বাড়ে ইতিবাচক শক্তির প্রভাবও।
৩) কালো কুকুরকে খাদ্য দান- শাস্ত্র অনুযায়ী যদি শনিবার শনিবার কালো কুকুরকে রুটি খাওয়ানো যায় তাহলে, তা শুভ বলে মানা হয়। শাস্ত্র অনুযায়ী, কালো কুকুর শনিদেবের বাহন। মানা হয়, যদি এই নিয়ম পালন করা যায় তবে দ্রুত খুশি হন ন্যায়ের দেবতা। এই নিয়ম মেনে চললে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ থেকে মুক্তি মেলে। পাশাপাশি দূর হয় একাধিক কষ্ট ও শনির দোষও।
৪) দান- শনিবার দান ধ্যান করলে তা শুভ বলে মানা হয়। শনিবার দুস্থ ও অভাবী মানুষকে দান করলে খুশি হন শনিদেবতা। কালো ছাতা, কালো তিল, কম্বল, জুতো, চন্দন, শনি চল্লিশা ইত্যাদি দান করা শুভ বলে মানা হয়। আর এই দান ধ্যানে খুশি হয়ে শনিদেবতা নিজের ভক্তদের উপর আশীর্বাদের হাত বজায় রাখে সর্বদা। পাশাপশি দূর হয় জীবনের দীর্ঘস্থায়ী দুঃখও।