জ্যোতিষশাস্ত্র কে আজকাল ঘুরতেও দেওয়া হয় অন্যান্য বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের মতোই কারণ এই জ্ঞানে দিয়ে বিশেষজ্ঞরা আমাদের ভুত ভবিষ্যত্ ও বিপদের কথা বলতে পারে সঠিক নির্ণয়ের দ্বারা। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, যখনই কোনও গ্রহ স্থানান্তর করে বা পিছিয়ে যায়, এটি সমস্ত রাশির মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলে। 5 জুন, শনি তার নিজস্ব রাশি কুম্ভ রাশিতে পিছিয়ে যাচ্ছে এবং 23 অক্টোবর পর্যন্ত কুম্ভ রাশিতে থাকবে। 5 জুন সকাল ৩.১৬ থেকে কুম্ভ রাশিতে বিপরীতমুখী ঘটছে। মোট ১৪১ দিন উল্টো পথে হাঁটতে চলেছেন শনি।
জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, যারা শনির সাদে সতী এবং আরায়ের সমস্যায় ভুগছেন, শনির এই বিপরীত পদক্ষেপ তাদের কষ্ট বাড়িয়ে দিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে শনিদেবকে খুশি করার জন্য কিছু ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। এই ব্যবস্থাগুলি শনির দশা থেকে কিছুটা মুক্তি দেয়। আসুন জেনে নেই এই প্রতিকারগুলো সম্পর্কে।
সাদে সতী ও ধইয়ার প্রতিকার:-
শনিদেব কর্মের দাতা এবং ন্যায়ের দেবতা হিসেবে পরিচিত। তাই শনি সাদে সতী ও ধইয়ার অবস্থা এড়াতে আগে থেকেই ভালো কাজ করুন। অন্যদের সাহায্য করুন। কারো সাথে মিথ্যা, চুরি, লোভ, ঘৃণা ইত্যাদি করবেন না।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, শনিবার বা নিয়মিত শনি ওম শনিশ্চরায় নমঃ বা ওম প্রম প্রেম প্রণস: শনিশ্চরায় নমঃ এই বীজ মন্ত্র 108 বার জপ করুন। এতে করে শনিদেব প্রসন্ন হন এবং ভক্তদের দুঃখ-কষ্ট দূর করেন।
আধো সতী ও ধইয়ার অশুভ প্রভাব এড়াতে শনিবার শমী গাছের পুজো করুন। শমী গাছে নিয়মিত জল দিন।শনিবার সন্ধ্যায় এর পূজা করুন এবং সরিষার তেলের প্রদীপ জ্বালান। শনিদেবের কাছে শমী গাছ প্রিয় তাই শনিবার শমী গাছের পূজা করা মঙ্গলময়।
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে শনিবার অস্বাথ্য গাছে শনিদেবের ছায়া পড়ে। তাই শনিদেবের আশীর্বাদ পেতে শনিবার এই গাছে অর্ঘ্য নিবেদন করুন। এছাড়াও, একটি সরিষার তেলের প্রদীপ জ্বালুন, এটি করলে শনি, অর্ধসতী, ধৈয়া এবং শনি দোষের অশুভ প্রভাব থেকে মুক্তি বা রক্ষা পেতে পারেন আপনি।
শনির কুদৃষ্টি এড়াতে শনিদেবের পূজা করুন। এর পরে শনি কালচ এবং শনি রক্ষা স্তোত্র পাঠ করুন। শনিবার কুকুর, শকুন, ঘোড়া, হাতি, হরিণ, ময়ূর ইত্যাদির কোনোভাবেই ক্ষতি করবেন না। এদের শনিদেবের বাহন বলে বিশ্বাস করা হয়। যদি সম্ভব হয়, শনিবার তাদের কিসু খাদ্য পরিবেশন করুন।শনিবার উপবাস করে শনি চালিসা পাঠ ও আরতি করলে শনিদেবের আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা জরুরী যে ভারত বার্তা যে কোনো ধরনের বিশ্বাস, তথ্যকে সমর্থন করে না। কোন তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।
