ফের গেরুয়া শিবিরে অস্বস্তি বাড়িয়ে নাগরিকত্ব ইস্যু নিয়ে কেন্দ্রকে প্রশ্নের মুখে ফেলল বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর (Shantunu Thakur)। তিনি গতকাল রবিবার বিকালে নদিয়ায় (Nadia) মতুয়াদের এক অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। সেখানে তিনি বলেন, “আমি যেমন বিজেপি সাংসদ সেই সাথে আমি মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি। তাই মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের জন্য সরকারের কাছে আমার দাবি, মানুষ কবে নাগরিকত্ব কার্ড পাবে সেটা স্পষ্ট করে বলা হোক।”
এদিন অনুষ্ঠানে শান্তনু ঠাকুর বলেছেন, “যেই আইন ২০০৩ সালে নতুন করে তৈরি করা হয় সেই আইনের রূপায়ণ করা আমাদের দাবি। কেন্দ্রকে আমাদের সংগঠনের লোকদের তাড়াতাড়ি জানাতে হবে যে তারা কবে নাগরিকত্ব কার্ড দিতে পারবে।” অন্যদিকে কিছুদিন আগে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “মতুয়ারা সবাই দেশের নাগরিক। বিজেপি মতুয়াদের মোয়া খাওয়াচ্ছ।”অবশ্য গতকাল শান্তনু ঠাকুর মুখ্যমন্ত্রীর কথাটা কটাক্ষ করে বলেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হলেও সব আইন জানেন না। মতুয়ারা সবাই দেশের নাগরিক নয় যতক্ষণ অব্দি তার নাগরিকত্ব কার্ড পাবে। তিনি বারবার এই বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। যদি ১৯৫০ সালের পর কেউ ভারতে জন্ম গ্রহণ না করেন তাহলে তাদের ছেলেমেয়েরা নাগরিকত্ব পাবে না। এই আইন ২০০৩ সালে তৈরি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এই আইনকে এড়িয়ে যাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী তার সারা জীবন মানুষের দায়িত্ব নেবে না। তাহলে এখন এসব বলে লাভ নেই। সব মানুষের সাংবিধানিক জায়গা থেকে স্বীকৃতি পাওয়া উচিত।”
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই শান্তনু ঠাকুর দলের বিরুদ্ধে গিয়ে মতুয়াদের হয়ে নাগরিকত্ব আইন প্রচলনের জন্য কেন্দ্রকে চাপ দিচ্ছে। এর আগেও তিনি অমিত শাহের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন যে কেন তারা এখনো এই আইন প্রচলন করছে না। আগামী ৩০জানুয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঠাকুরনগরে এসে জনসভা করবেন। এই জনসভায় মতবাদে আরো বেশি পরিমাণ হাজির থাকার উদ্দেশ্যে গতকাল শান্তনু ঠাকুর আহ্বান জানায়। এই বিষয়ে মতুয়া মহাসঙ্ঘের নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মুকুটমণি অধিকারী জানিয়েছেন, “CAA নিয়ে ইতিমধ্যেই আমরা রাজ্য সরকারকে চাপ দিচ্ছি এবং কেন্দ্র সরকারকে একই দাবি জানাচ্ছি। আমাদের দাবি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নাগরিকত্ব সংশোধিত আইন বলবৎ করতে হবে।”