প্রণব মুখার্জি লেখা বই নিয়ে রীতিমতো এবারের সম্মুখ সমরে অবতীর্ণ হয়ে গেলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি পুত্র এবং তার কন্যা। শেষবার লেখা বইয়ের প্রকাশ বন্ধ রাখতে বলেছিলেন পুত্র অভিজিৎ। তার পাল্টা তার কন্যা শর্মিষ্ঠা আর্জি জানালেন, যেনো কোনো কারণে তার বাবার লেখা বই এর প্রকাশ আটকায়। তার সঙ্গে তিনি বার্তা দিয়েছেন, সস্তা প্রচারের জন্য যেন কেউ এই বই প্রকাশ আটকে না দেয়। এরই নাম না করে তার ভাই অভিজিৎ কে একহাত নিলেন শর্মিষ্ঠা।
গত শুক্রবার প্রণব বাবুর লেখা শেষ বই দা প্রেসিডেনশিয়াল ইয়ার্স এর কিছু অংশ প্রকাশ করা হয়েছিল। এই বইতে ২০১৪সালে লোকসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবির জন্য প্রণব মুখোপাধ্যায় সরাসরি আক্রমণ করেছেন দলের তৎকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী এবং প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে। এই বইয়ের প্রথম দফায় তিনি লিখেছেন, প্রথম দফায় স্বৈরতান্ত্রিক রাজনীতি চালিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি। ওই বইটি প্রথমবার প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৪ সালে। সেই বইটি প্রকাশের সময় সারা দেশজুড়ে বিতর্কে ঝড় উঠে।
মঙ্গলবার অভিজিৎ দাবি করেছেন, বইয়ের যে অংশ সামনে আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমার বাবা এই মুহূর্তে বেঁচে নেই, তাই ছেলে হিসেবে প্রকাশের আগে বইটি কে সম্পূর্ণরূপে খুঁটিয়ে দেখা আমার দায়িত্ব। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, আমার বাবা থাকতেও তাই করতেন। তিনি আরো বলেছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা না পর্যন্ত যেন অবিলম্বে বই প্রকাশ বন্ধ রাখা হয়।
সেই বিতর্ক শুরু কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই বিতর্কে অংশগ্রহণ করেন প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কন্যা শর্মিষ্ঠা। শর্মিষ্ঠা তার দাদা অভিজিৎ কে ট্যাগ করে লিখেছেন, আমি, দা প্রেসিডেনশিয়াল ইয়ার্স এর লেখক এর কন্যা। আমার দাদা অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় যে আর্জি জানাচ্ছি যেন আমার বাবার বই প্রকাশে অহেতুক বাধা না দেওয়া হয়। চূড়ান্ত খসড়া তে আমার বাবার হাতের লেখা চিঠি রয়েছে। এই চিঠিতে এমন কিছু মন্তব্য আছে যা তার অত্যন্ত ব্যক্তিগত। যে মতামত প্রকাশ করেছেন তা সম্পূর্ণভাবে তার ব্যক্তিগত মতামত। সস্তা প্রচারের জন্য কেউ যেন এই বইয়ের প্রকাশ না আটকায়। সেটা আমাদের প্রয়াত বাবার প্রতি সবথেকে অমানবিক কাজ হবে।
এখানেই থামেননি প্রণব কন্যা। একটি টুইটে, অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বইয়ের নাম লিখেছিলেন দা প্রেসিডেন্সিয়াল মেম ওয়ার্স। ঘণ্টাখানেক পরে এই নামটি শুধরে জানিয়েছিলেন বটে। তবে তার এই টুইট নিয়ে তার দাদাকে কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, বইটির নাম দা প্রেসিডেন্সিয়াল ইয়ার্স, দা প্রেসিডেন্সিয়াল মেম ওয়ারস না।