বছর কয়েক আগে যখন চলছিল বিগ বস সেই সময় শেহেনাজ গিলের সঙ্গে বিগ বসের ঘরে আলাপ হয়েছিল অভিনেতা সিদ্ধার্থ শুক্লার। সেখান থেকেই শুরু তাদের বন্ধুত্ব। তারপর এই বন্ধুত্ব ধীরে ধীরে প্রেমের আকার নিলেও তারা দুজনে কখনো নিজেদের সম্পর্ককে স্বীকৃতি দেননি। অনুরাগীরা পর্যন্ত এই জুটির প্রেমে রীতিমতো পাগল। তাদের দুজনের নাম পর্যন্ত দেওয়া হয়, ‘সিডনাজ’। তবে সেই সময়ের শেহনাজ এবং আজকের শেহনাজ একেবারেই আলাদা। দুজনকে যেনো এক করা একেবারে অসম্ভব। সিদ্ধার্থের মৃত্যুর পর থেকে শেহনাজ যেনো একটু একটু করে নিজের প্রাণশক্তি হারিয়ে ফেলছেন, অন্তত তেমনটাই মত সকলের।
ইতিমধ্যেই তার মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে। কয়েক বছর আগে যখন শেহনাজকে সকলে দেখতেন তখন তাকে একেবারে অন্যরকম মনে হতো। কিন্তু সিদ্ধার্থের মৃত্যুর পর তিনি নিজেকে ক্রমশ গৃহবন্দী করে ফেলেছিলেন। ফিল্মের প্রোডাকশনের সময় তাকে ঘর থেকে বেরিয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে হয়েছিল। কিন্তু সেই সময়ে পাপারাজ্জিরা একাধিকবার তার ছবি তোলার চেষ্টা করলেও তিনি বারবার তাদের এড়িয়ে গিয়েছেন। সাম্প্রতিক একটি শোয়ের জন্য তিনি অতিথি হয়ে এসেছিলেন। সেই শোয়ের সেটে পাপারাজ্জিদের ক্যামেরাবন্দি হয়েছিলেন শেহনাজ।
তবে সেখানে তাকে একেবারে কঠিন কঠোর মনে হলো। তার মুখে নাই হাসি। তিনি যেন একেবারে পাল্টে গিয়েছেন। পাপারাজ্জিদের সামনে পোজ দেবার জন্য মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য বেরিয়ে ছিলেন তিনি। তার পরেই তিনি নিজের ভ্যানিটি ভ্যানে উঠে যান। তার মুখে হাসি দেখা গেল না তেমন একটা। শুধুমাত্র সৌজন্যমূলক ভাবে কয়েক সেকেন্ডের জন্য হাসলেন তিনি। অনেকেরই মনে হচ্ছে, সিদ্ধার্থের মৃত্যুর পর তিনি যেন একেবারে ভেঙে পড়েছেন। তার মানসিক স্বাস্থ্য খুব একটা ভালো নেই।
নেটিজেনরা বলছেন, হাসিখুশি শেহনাজ একেবারে পাল্টে গিয়েছেন। সিদ্ধার্থের পরিবারের সঙ্গে তার সম্পর্ক এখনো পর্যন্ত বেশ ভালো। সিদ্ধার্থ মারা গেলেও তিনি সকলের মনে রয়ে গিয়েছেন। তবে কোথাও তাকে দেখে মনে হচ্ছে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছেন এখনও। তিনি যাতে আবারো আগের মত স্বাভাবিক হয়ে যান তার জন্যই প্রার্থনা করছেন নেটিজেনরা।














Amanda Seyfried Describes Socialism as ‘A Gorgeous Idea’ While Discussing New Film