মাদক মামলার পর এখন বকিউড ফের সরগরম পর্ণোগ্রাফি মামলা নিয়ে। এই ঘটনার মাথা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টির স্বামী শিল্পপতি রাজ কুন্দ্রা। ১৯ জুলাই মুম্বাই ক্রাইম বাঞ্চের পুলিশ রাজকে গ্রেপ্তার করেন। পর্নোগ্রাফি মামলায় ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয় রাজ কুন্দ্রার। দিন যত যাচ্ছে মুম্বাই পুলিশ রাজের বিরুদ্ধে এক এক করে প্রমাণ পাচ্ছে। ইতিমধ্যে বহু মডেল তথা অভিনেত্রী রাজের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন।
এর মধ্যে রাজের চারজন কর্মচারী পুলিশের কাছে সাক্ষী দেন, রাজই নাকি কুন্তাঁদের পর্ন ভিডিয়োর ক্লিপ গুলি মুছে ফেলতে বলেছিলেন। শোনা যাচ্ছে বলিউড অভিনেত্রী রাজ-পত্নী শিল্পা শেট্টিকে আগেই জেরা করে মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। রাজের কুকীর্তি ফাঁস হতেই রাজ পত্নীর ইমেজ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায় সকলের কাছে। অনেকে রাজের পার্টনার হিসেবে শিল্পাকে ধরে নিয়েছেন। তবে এখনো শিল্পার বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণের হদিশ পাননি ক্রাইম বাঞ্চের পুলিশ।
এর মাঝেই ফের ছ’ঘণ্টা ধরে টানা তল্লাশি চলেছে রাজ কুন্দ্রা ও শিল্পা শেট্টির জুহুর বাড়িতে। স্বামী গ্রেফতার হওয়ার পর প্রথমদিকে দেখতে না গেলেও তল্লাশির সময় যখন প্রথম বার নিজের স্বামীকে দেখেন শিল্পা সেই সময় নিজেকে সামলাতে পারেননি। রাগে, কষ্টে, দুঃখ আর লজ্জায় ফেটে পড়েন তিনি। অবশ্য এই কথা জানা গিয়েছে পুলিশের তরফ থেকে। সেই দিন শিল্পা ও রাজের মধ্যে কী কথোপকথন হয়েছিল, তা মঙ্গলবার সন্ধ্যেতে এক সংবাদমাধ্যম সম্পূর্ণ রূপে প্রকাশ পেয়েছে।
জানা গিয়েছে শিল্পা রাজকে প্রথম্বার দেখতেই খুব জোড়ে চিৎকার করে বলেন, ‘‘তোমার পর্ন ব্যবসার জন্য পরিবারের সকলের নাম খারাপ হচ্ছে!’’ সেই সময় স্ত্রীর সামনে রাজ বলে ওঠেন, ‘‘আমি পর্ন কোনোদিন বানাইনি। সবই হল যৌন উদ্দীপক ছবি।’’ কিন্তু শিল্পা তাতেই আরো রেগে যান। তারপরই কাঁদতে শুরু করে দেন। এরপর তিনি বলে ওঠেন ‘‘সবই তো ছিল আমাদের কাছে। কী দরকার ছিল এ সব কুকর্ম করার?’’ বর্তমানে কুন্দ্রা পরিবারের আর্থিক এবং পেশাগত ক্ষতির জন্য অভিনেত্রী নিজের স্বামীকে দোষারোপ করছেন।
পর্ন-কাণ্ডে শিল্পাকে ইতিমধ্যে দু’বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত রাজ ঘরণীর বিরুদ্ধে একটাও প্রমাণ পাননি অভিনেত্রী। তবে এখনই নিস্তার নেই শিল্পার। পুলিশি জেরা চলবে এখনো। এঅভিনেত্রীর ফোনের ক্লোনিং করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে মুম্বাই পুলিশের গোয়েন্দারা। এর ফোন ক্লোন করার অর্থ, শিল্পার ফোনের পুরোনো সব তথ্য চলে আসবে তদন্তকারীদের হাতে। সেই সঙ্গে শিল্পার ফোনে কোনও গোপন নথি রয়েছে কি না, কিংবা তাঁর ফোন থেকে গত কয়েক মাসে কোন কোন তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে, তা উঠে আসবে। জানা গিয়েছে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের পরে শিল্পা খুবই ভেঙে পড়েছিলেন।