রচনা ব্যানার্জি এই নাম শুনলেই এভারগ্রিন নায়িকাদের মধ্যে একজনের কথা মনে পড়বে। বয়স ছেচল্লিশ বছর। এই বয়সেও এসে রচনা একইরকম চার্মিং এবং সুন্দরী ও ফিট এবং ফাইন। ২০০০সাল থেকে রুপোলি পর্দায় একের পর এক হিট সিনেমা দর্শককে তিনি উপহার দিয়েছেন। চিরঞ্জিত, মিঠুন চক্রবর্তী, প্রসেনজিৎ এর সাথে জুটি বেঁধে একের পর এক হিট সিনেমা বক্স অফিসে সুপার ডুপার হিট হয়েছিল। টলিউড থেকে বলিউড সফর ছিল অভিনেত্রীর বেশ ভালো। অমিতাভ বচ্চনের সাথে অভিনয় করে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন। এছাড়া তামিল তেলেগু সিনেমাতে অভিনয় করে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন বাংলার এই মেয়ে রচনা।
রচনা অভিনয়ের পাশাপাশি একজন দক্ষ নৃত্যশিল্পীও বটে। প্রায়ই নিজের অসাধারণ নাচ নিজের ইন্সটাগ্রামে ভিডিয়োতে শেয়ার করে থাকেন। কিছুদিন আগে শীতের রাতে বনফায়ার পার্টিতে হায় গার্মি গানে তুমুল নেচে ভাইরাল হয়েছিলেন অভিনেত্রী। দিদি নাম্বার ওয়ানের সেটেও বহু প্রতিযোগীর সাথে নাচতে দেখা যায় সকলের প্রিয় দিদিকে। অভিনয় না করলেও বিকেল ৫টা মানেই সকলের ঘরে রিয়ালিটি শো দিদি নাম্বার ওয়ানে রচনার সঞ্চালনা দেখা চাই প্রতিটি মা কাকিমার। ‘দিদি নম্বর ওয়ানের’ রচনার সঞ্চালন চ্যানেলের টিআরপি দিন দিন বাড়িয়ে চলেছে। টানা ১০ বছর ধরে তিনি এই শোয়ের দায়িত্বে রয়েছেন।
অভিনেত্রী দিদি নাম্বার ওয়ান সঞ্চালনার পাশাপাশি নিজের ইন্সটাগ্রাম পেজে বেশ ভালাই সক্রিয় থাকেন। প্রায়শই নিজের ফটোশুট আর রিল ভিডিয়োর জন্য রচনা বেশ ভালোই হিট ইন্সটাগ্রাম পেজে। অভিনেত্রীর অনুগামীর সংখ্যা ও তবে অভিনেত্রীর সবচেয়ে পছন্দের মানুষ কে সে কি জানেন? অভিনেত্রী টলিউডে কাজ করার আগে ওড়িশা একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন। ওড়িয়া সিনেমার নায়ক সিদ্ধার্থ মহাপাত্রের সাথে প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ হন। এরপর গাঁটছাড়া বাঁধলেও সেই বিয়ে বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ডিভোর্স হয়ে যায়।
এরপর ওড়িশা থেকে কলকাতায় ফিরে এসে টলিউডে অভিনয় শুরু করেন। এখানে জনপ্রিয় হওয়ার পর প্রবাল বসুর সাথে বিয়ে করেন। তবে এই বিয়েও সুখকর হয়নি। তবে এদের একটি পুত্রসন্তান আছে। যার নাম প্রণিল বসু। আর প্রণিলকে বড় করার জন্য তিনি অভিনয় একপ্রকার ছেড়ে দিয়েছেন। আগের বছর করোনার জন্য বাড়িতে ছেলেকে নিয়ে সময় কাটাতে হয়েছে অভিনেত্রীকে। করোনার জন্য বাইরে না থেকেই প্রতিটি উৎসব ছেলে আর বন্ধুদের সাথে ঘরোয়া আমেজে সেলিব্রেশন করেছেন অভিনেত্রী। আর সেই সব মুহূর্ত ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়াতে। অভিনেত্রীর কাছে তাঁর ছেলেই প্রিয় মানুষ।