শ্রীমা ভট্টাচার্য টেলিপাড়ার অতি পরিচিত মুখ। ধারাবাহিকে মূখ্য চরিত্রে অভিনয় করে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন এই অভিনেত্রী। অভিনেত্রীকে চলতি বছর জানুয়ারিতে ‘বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না’ শেষ বার দেখা গিয়েছে। এই ধারাবাহিকে অভিনয় করে শ্রীমার অভিনয় বেশ প্রশংসা করেন দর্শক। তবে এই ধারাবাহিক শেষ হওয়ার পর এখনও ছোটপর্দায় দেখা যায়নি শ্রীমাকে। তবে একের পর এক ফটোশ্যুট দিয়ে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া কাঁপাচ্ছেন অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেত্রীর অনুগামী সংখ্যা নেহাত কম নয়। তাঁরাও অপেক্ষা করে থাকেন অভিনেত্রীর নতুন পোস্ট দেখবে বলে।
গত এপ্রিল মাসে কোভিড পজিটিভ হয়েছিলেন অভিনেত্রী শ্রীমা। আর সে কথা নিজেই নিজের অনুগামীদের সাথে শেয়ার করেছিলেন। এর মাঝেই তাঁর বাবা-মা, ভাইও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিছুদিন আগেই তাঁদের সকলের করোনার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। তবে অভিনেত্রী ও তাঁর পরিবার এখন করোনাকে হারিয়ে পুরোপুরি সুস্থ আছেন। তবে করোনার বাড়বাড়ন্তে এখন অভিনেত্রী ফের ঘরবন্দী আছেন। লকডাউনের জন্য বাড়ির বাইরে যেতে পারছেননা। তাই বাড়িতে বসে পরিবারের সাথে সময় কাটাচ্ছেন।
জীবনের কিছু কিছু স্মৃতি কোনোদিন কখনো ভোলা যায় না। যেমন প্রথম স্কুল, কলেজ, প্রথম ভালোবাসা তেমনই প্রথম কাজ ও ভোলা যায়না। শ্রীমাও এর ব্যতিক্রম নয়। অভিনেত্রী শ্রীমা ভট্টাচার্যের কেরিয়ারের প্রথম ধারাবাহিক ছিল কালার্স বাংলায় ‘নাগলীলা’। এই ধারাবাহিক দিয়ে অভিনয় জগতে পা রেখেছিলেন। এই ধারাবাহিকে মূল নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তাঁর বিপরীতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেতা জন ভট্টাচার্য।
এই লকডাউনে বাড়িতে বসে নিজের অনুগামীদের সাথে প্রথম ধারাবাহিকের কাজ শেয়ার করলেন। শ্রীমা নিজের ইন্সটাগ্রাম হ্যান্ডেলে নাগলীলার পুরনো কিছু স্মৃতির আংতায় মোড়া কিছু সুন্দর মুহূর্তের ছবি শেয়ার করেন। ক্যাপশনে লেখেন, ‘যত্নে রাখা প্রথম জীবনের কিছু মিষ্টি স্মৃতি’। সত্যি এই স্মৃতি খুব মিষ্টি। অভিনেত্রীর এই ছবি দেখে নেটনাগরিকরা খুব খুশি হন। লাইকে ভরিয়ে দেন। নিমেষে ভাইরাল হয় এই পোস্ট।
এই ধারাবাহিকের আগে তিনি জার্নালিজম নিয়ে বাগবাজার উইমেন কলেজে পড়াশুনা করতেন। পাশাপাশি তিনি মডেলিং করতেন । ধারাবাহিক করার পাশাপাশি নিজের পড়াশোনা ও শেষ করেছিলেন। আর প্রথম ধারাবাহিক ‘নাগলীলা’ তেই বিপুল জনপ্রিয়তা পান। এরপর অভিনেত্রীকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।