বাংলা সিরিয়ালবিনোদন

দুঃস্থ কোভিড আক্রান্তদের করোনার ওষুধ দিলেন সকলের প্রিয় ‘নোয়া’

Advertisement

করোনা পরিস্থিতিতে দেশের অবস্থা সঙ্কটজনক। করোনার দ্বিতীয় পর্যায়ে রীতিমতো বেহাল সারা ভারতবর্ষ। করোনার এই দ্বিতীয় ঢেউতে ছোট থেকে বড় কেউ রেহাই পায়না। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষের বেশি মানুষ করোনাতে সংক্রামিত হচ্ছে। প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। দৈনিক মৃত্যুর হার এখন ৪হাজার ছড়িয়েছে। চারিদিকে শুধু নানা আর্তনাদ, যন্ত্রণা, বুক ফাটা কান্না, মৃতদেহের স্তূপ, আর সাড়ি সাড়ি গণচিতার আগুন জ্বলে উঠছে।

এই সময় অনেক তারকা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। কেউ হাসপাতালের খোঁজ দিচ্ছেন তো কেউ আবার অক্সিজেনের খোঁজ দিচ্ছেন। কিন্তু গ্ল্যমার জগতের মানুষ খুব কমই আছে যারা মাঠে নেমে কাজ করছেন। আবার কোনো তারকা নিজের সাধ্যমতো করোনা রোগীর মুখে খাবার তুলে দিচ্ছেন। দেশে কোভিড পরিস্থিতি দিন দিন আরো ভয়াবহ উঠছে। আর এখন মানুষকে মানুষের পাশে এসে লড়তে হবে। ভয় না পেয়ে মনের জোড়ে এগিয়ে যেতে হবে। এবার কোভিড পরিস্থিতিতে এগিয়ে এলেন দেশের মাটি ধারাবাহিকের নোয়া।

গত এপ্রিল মাসে কোভিড আক্রান্ত হয়েছে নোয়া ওরফে শ্রুতি দাস। করোনাকে হারিয়ে এখন পুরোপুরি সুস্থ অভিনেত্রী। তবে শ্রুতির কাছে করোনার অতিরিক্ত কিছু ওষুধ বেচে গিয়েছে। আবার কয়েকটি ওষুধের ডোজ আলসেমি করে খাননি। এই ওষুধগুলি এখন অভিনেত্রীর কোনো কাজে আসবেনা তাই তিনি গরীব অসহায় করোনা রোগীদের দিয়ে দিতে চান। অনেকেই কোভিড আক্রান্ত আছেন যাদের পয়সার অভাবে সঠিক ওষুধ কিনতে পারছেননা।

তাই শ্রুতি নিজের ইন্সটাগ্রাম হ্যান্ডেলে বেচে থাকা ওষুধগুলির ছবি শেয়ার করে শ্রুতি লিখেছেন, যদি কোনো ব্যক্তির এই ওষুধগুলি প্রয়োজন হয়, তাহলে সে যেন তাঁর ইনবক্সে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনের ছবি পাঠান তাহলেন তাঁকে ওষুধগুলি দেবেন অভিনেত্রী। এই ছবি শেয়ার করার সাথে সাথে অনেকেই কমেন্ট করে জানান তাদের এই ওষুধের কথা। শ্রুতির এই উদ্যোগ নেটিজেনদের একাংশ বেশ প্রশংসা করেছেন।

সম্প্রতি স্টার জলসার অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে সেরা মেয়ের পুরষ্কার নিজের নাম করে নিয়েছিলেন অভিনেত্রী শ্রুতি দাস। করোনা আক্রান্ত হওয়ার জন্য বেশ কিছুদিন ধারাবাহিকে অনুপস্থিত থাকলেও ফের নোয়া হয়ে সেটে ফিরেছেন শ্রুতি। করোনার সব প্রটোকল মেনেই চলছে দেশের মাটি ধারাবাহিকের শ্যুটিং। আর সেটে ফিরে অভিনেত্রীও বেশ খুশি। করোনায় অসুস্থ থাকাকালীন বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টিং এর সময় রোগের চেয়ে গৃহবন্দী থাকায় বেশি কষ্ট পেয়েছিলেন। তবে রিপোর্ট নেগেটিভ হতেই তিনি সেই আনন্দ নিজের অনুগামীদের সাথে ভাগ করেছিলেন।

Related Articles

Back to top button