Shruti Das: চিরাচরিত প্রথাকে বুড়ো আঙুল দেখালেন শ্রুতি, ‘মিমি ভাত’ খাওয়ালেন বোনপোকে! রইল ছবি
বাংলা টেলিভিশনের অতি জনপ্রিয় নাম এখন শ্রুতি দাস। ধারাবাহিকের সংখ্যা ২। ত্রিনয়নী থেকে দেশের মাটি- দুই ধারাবাহিকে নিজের অভিনয় দিয়ে টেলি মহলে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। ত্রিনয়নীর নয়ন হোক দেশের মাটির নোয়া দুই চরিত্রে সাবলীল অভিনয় দিয়ে বাঙালি দর্শকের খুব প্রিয় পাত্রী হয়ে উঠেছেন শ্রুতি। তবে অভিনেত্রীর আরো একটি গুনের জন্য তিনি বেশ খ্যাত। স্পষ্টবক্তা শ্রুতি। কোনো কথা রাখ ঢাক করে বলেন। স্পষ্ট কথায় কোনো কষ্ট নেই।
ফের খবরের শিরোনামে প্রতিবাদী শ্রুতি। তবে এবার কোনো ট্রোলের উত্তর দিলেন না। সমাজকে এক বড় বার্তা দিলেন নিজের মতো করে। তবে তিনি নতুন বছর শুরুর সময়ে বলেছিলেন এই বছরে তথাকথিত সামাজিক সংষ্কার, প্রথা ভাঙবেন। আর কথামতো তাই করলেন। বরাবর পর্দার নোয়া রকম অন্যায় প্রথার বিরুদ্ধেই কথা বলে৷ এবারে নিজের বোনপোকে ‘মামাভাত’ নয় বরং ‘মিমিভাত’ খাওয়ালেন। সমাজের চলে আসা পুরুষতান্ত্রিক নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নিজের মতো করে বোনপোকে মুখে ভাত দিলেন অভিনেত্রী।
অভিনেত্রী নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার পেজে আদুরে বোনপোর অন্নপ্রাশনের একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করেছেন। এদিন বোনপোর অন্নপ্রাশনের জন্য বেছে নিয়েছিলেন লাল সাদা প্রিন্টের হ্যান্ডলুম শাড়ি, সাদা কালো স্লিভলেস ব্লাউজ, আর অল্প মেক আপ সাথে খোলা চুলে মোহময়ী। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, অভিনেত্রীর সামনে থালায় রাখা হয়েছে বনপোর জন্য ভাত আর পঞ্চব্যঞ্জন। বোনপোকে নিজের কোলে বসিয়ে আদর করে তার মুখে প্রথম ভাত তুলে দিচ্ছেন অভিনেত্রী।
বাঙালিদের অন্নপ্রাশনের প্রথা অনুযায়ী, ছেলে বা মেয়ের প্রথম ভাত খাওয়ার অনুষ্ঠানে তাদের মামা বা কাকা বা দাদুরাই ভাত খাওয়ায়। কিন্তু এমন কোথাও লেখা আছে যে মাসি বা পিসিরা খাওয়াতে পারবে না? ঠিক এই প্রশ্নটাই এদিন সকলের সামনে তুলেছেন শ্রুতি। এই মিষ্টি ছবিগুলি শেয়ার করে ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘নিজের বোনপোকে মিমিভাত খাওয়ানোর মজাই আলাদা। সাথে সাফল্যও। প্রথা ভাঙার আলাদাই আনন্দ। সব সময়ে মামাভাত কেন? মা মাসিরাই তো রোজ খাওয়ায় বাচ্চাদের। বাবা মেসো রা কদাচিৎ।’ এরপরেই কমেন্ট বক্সে অনেকেই সহমত জানিয়েছেন। নেটিজেনদের মত, অভিনেত্রী এই চিরাচরিত নিয়ম ভেঙে কোনো ভুল করেননি। এই ছবি গুলি তুমুল ভাইরাল হয়।