রাজ্য জুড়ে যখন দুই ফল তথা ঘাস ফুল এবং পদ্ম ফুলের মাঝে চলছে জোর লড়াই। চলছে এক দল ছেড়ে অন্য দলে যোগদান করার পালা। বাংলায় আসছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা প্রতি মাসে। প্রতি মাসে রাজ্যে দেখা যাচ্ছে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (JP Nadda) এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah)। এক জেলা থেকে অন্য জেলায় ছুটে বেড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) । ঠিক এমন সময় শিলিগুড়িতে দেখা গেল লাল ঝাণ্ডার ঝড়। শিলিগুড়ি পুরসভার ৩৩ টি ওয়ার্ড নিয়ে একটি বিধানসভা তৈরি। আজ ৩৩ টি ওয়ার্ডেরই ২৫০ বুথে উড়তে দেখা গেল লাল পতাকা।
আজ থেকে সাত দিনের জনসংযোগ যাত্রা শুরু করল লাল শিবির। পুর প্রশাসক তথা শিলিগুড়ির বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে এইদিন শুরু হল যাত্রা। সাধারণ মানুষের মন বুঝতে এক ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ড চষতে দেখা গেল অশোক ভট্টাচার্যকে। জানা গিয়েছে যে, আজ থেকে টানা ৭ দিন এই কর্মসূচি চলবে। এইদিন বিরোধীদের দাবি উড়িয়ে অশোক ভট্টাচার্য্য(Ashoke Bhattacharjee) বলেন,”লাল ঝাণ্ডা নাকি দেখতে হয় দূরবীন দিয়ে?” ২১ এর নির্বাচনের আগে মুড়িয়ে ফেলা হল শিলিগুড়ি বিধানসভা অঞ্চল। আজ থেকে টানা ৭ দিন ধরে চালানো হবে কর্মসূচি। প্রতি বুথে থাকবে বামের ঝাণ্ডা। সাথে সাধারণ মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হল লিফলেটও।
কেন ঘাস অথবা পদ্ম ফুলকে ভোট নয়? কেন বাম-কংগ্রেস জোট কে দেওয়া উচিৎ ভোট। এই বিষয়কে নিয়ে ৯ দফা দাবী মিলিয়ে বিলি করা হল বামেদের লিফলেট। রাজ্যে একমাত্র শিলিগুড়িতেই এখনও বামেদের অস্তিত্ব রয়েছে, তা আরও একবার বোঝাতে পথে নেমে পড়লেন অশোক ভট্টাচার্য। এইদিন অশোক বাবু জানান,বিজেপি এবং তৃণমূল কাউকেই ভোট নয়। ওরা ক্ষমতায় এলে রাজ্য আরও পিছিয়ে যাবে। একমাত্র বাম কংগ্রেসই পারবে রাজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। এইদিন গণ অর্থ সংগ্রহ করেন অশোকবাবু। তার কথায়, নির্বাচনে লড়তে হলে প্রয়োজন প্রচুর টাকার। সেই জন্যই এই অর্থ সংগ্রহ করা। সব মিলিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপিকে পিছিয়ে রাখে শিলিগুড়িকে টার্গেট করতে দেখা গেল বামেদের । শীঘ্রই শিলিগুড়িতে বাম এবং কংগ্রেস যৌথভাবে একাধিক কর্মসূচিতে নামবে। জোটের দাবী, শিলিগুড়ি ও লাগোয়া মিলিয়ে চারটি আসনই জিতবে বাম-কংগ্রেস জোট।