ক্রমে দেশ জুড়ে লাগামহীন ভাবে বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিনিয়ত তা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। আর এই পরিস্থিতিতে যথেষ্ট ভয়ের খবর শোনাল ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন। শুক্রবার, ওই সংস্থার তরফে জানান হয়েছে ভারতে ইতিমধ্যে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে। আর এরই পরিস্থিতি যথেষ্ট চিন্তার কারন। দেশ জুড়ে যেভাবে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে তাতে খুব শীঘ্রই করোনার টিকা আবিস্কার না হলে সেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কষ্টকর হয়ে যাবে।
এদিকে বিশ্বে তিন নম্বরে রয়েছে ভারতের নাম। বিশ্বের তাবড়-তাবড় দেশকে পিছনে ফেলে করোনায় আক্রান্তের নিরিখে ভারত তৃতীয় স্থানে রয়েছে। প্রথমে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দ্বিতীয়তে রয়েছে ব্রাজিল। এরপর তিন নম্বর ভারত। আইএমএ হসপিটাল বোর্ড অফ ইন্ডিয়ারে চেয়ারপার্সন ড. ভিকে মংগা জানিয়েছেন, “রাজধানী দিল্লিতে করোনার সংক্রমণকে ঠেকানো গেলেও দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলি যেমন মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, কেরল প্রভৃতি রাজ্যের প্রত্যন্ত গ্রামে যেভাবে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে তা কিভাবে আটকানো সম্ভব তা জানা নেই।
এদিকে শনিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী দেশ জুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০,৩৮,৭১৬ জন। তার মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠছেন ৬,৫৩,৭৫১ জন। যদিও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানান হয়েছে, দেশ জুড়ে গোষ্ঠী সংক্রমণ এখনো শুরু হয়নি। তবে আইএমএ-এর এমন উক্তি বর্তমান পরিস্থিতিতে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। ড. ভিকে মংগা আরও জানিয়েছেন, “প্রতিদিন করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ৩০,০০০ করে বাড়ছে। এটি সত্যিই খুব চিন্তার বিষয়”।
ভারতীয় জনস্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান ও ICMR-এর কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক কে. শ্রীনাথ রেড্ডি জানিয়েছেন, “যেভাবে প্রতিদিন করোনা ভাইরাসে সংক্রমণের হার বাড়ছে তাতে সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হবে। সরকার ও নাগরিক উভয়কেই করোনা সম্পর্কে সচেতন হতে হবে”।