Solar storm: ঘূর্ণিঝড়ের মাঝেই সৌর ঝড়ের প্রভাব, বন্ধ হতে পারে ফোন এবং বিমান পরিষেবা, জ্বলবে পৃথিবী, কি জানালো মহাকাশ সংস্থা?
সূর্য থেকে নির্গত করোনাল মাস ইঞ্জেকশন প্লাজমা পাটিকেল এবারে জিও ম্যাগনেটিক ঝড় তুলতে চলেছে সূর্যের বাইরে
সৌরজগতের নেতা সূর্যের রোষানলে এবারে বড় প্রভাব পড়তে পারে পৃথিবীর উপরে। মহাকাশ বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন আবারও ফুঁসতে শুরু করেছে সূর্য। করোনাল মাস ইনজেকশন এর বড় প্রভাব এসে পড়বে পৃথিবীর উপরেও। সৌরমন্ডলের একাধিক গ্রহের উপরে সূর্যের এই অনল শিখার প্রভাব পড়তে চলেছে বলে জানিয়েছে মহাকাশবিদরা। সূর্যের থেকে নিগত করোনাল মাস ইনজেকশনের প্লাজমা পার্টিকেল জিওম্যাগনেটিক ঝড় তুলতে চলেছে সূর্যের বাইরে। এর ফলে বেতার তরঙ্গ ব্যাহত হতে পারে এবং বেশ কয়েকদিনের জন্য ফোন বন্ধ থাকতে পারে।
৭ মে সূর্যের একটি নতুন সান স্পট পর তৈরি হয়েছে। এই মাস ইনজেকশন থেকে প্লাজমা এবং ম্যাগনেটিক ফিল্ডের একটি বড় বিস্ফোরণ ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। সূর্যের বহিস্তর হল এই করোনা। এখান থেকেই ভাইরাসটির নাম দেয়া হয়েছিল করোনা ভাইরাস। বলতে গেলে এই স্তর তৈরি হয়েছে উত্তপ্ত প্লাজমা দিয়ে। এপ্রিল মাসে ২৩ বার করোনাল মাস ইনজেকশন দেখা দিয়েছে সূর্য থেকে এবং এর মধ্যে তিনবার চরম সৌর ঝড় দেখা গিয়েছে। এর প্রভাব সরাসরি এসে পড়েছিল পৃথিবীতে।
যদিও জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এপ্রিল মাসে মোটামুটি সূর্য তেতে থাকে। এই মাসে একাধিক সৌর ঝড় দেখা যায়। সূর্যের মধ্যে ৯৬ টি সান স্পট দেখতে পাওয়া গেছে যেখানে সৌর ঝড় উঠেছিল। আশঙ্কা দেখা গিয়েছে বেশ কিছু বছরের মধ্যে এই সান স্পট এর সংখ্যা আরো বেড়ে যাবে। অর্থাৎ সোলার ম্যাক্সিমামের দিকে অনেকটা পৌঁছে যাবে সৌরমন্ডলের সবথেকে বড় নক্ষত্রটি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্র পূর্বাভাস দিয়েছে, ভূ চৌম্বকীয় ঝড় উঠতে শুরু করেছে, যার প্রভাবে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।