একুশে নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে তৃণমূল-বিজেপি দ্বন্দ্ব। জবাব পাল্টা জবাব এবং অন্যদিকে দলবদল নিয়ে রীতিমতো উত্তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করার পর থেকে যেমন শাসকদলের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যু নিয়ে তোপ দেগেছেন, ঠিক অন্যদিকে শাসকদল শুভেন্দুকে ছেড়ে কথা বলেনি। কিন্তু এবার এই দ্বন্দ্ব ক্রমশ হিংসাত্মক হয়ে উঠছে। আজ অর্থাৎ শনিবার নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। বিজেপির দাবি এই কাজ করেছে তৃণমূলের লোকেরা।
আজকে সন্ধ্যেবেলা নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর অফিস ভাঙচুর করা হয়। তার অফিসে থাকা আসবাবপত্র, মোটরবাইক ভাঙচুর করা হয়। দলীয় কাজে ব্যবহৃত বিজেপির পতাকা ফেস্টুন ছেড়ে দেওয়া হয়। সেই সময় অফিসে থাকা লোক কোন রকমে পালিয়ে গিয়ে প্রাণে বাঁচে। প্রসঙ্গত, গতকাল নন্দীগ্রামের কেন্দুয়াতে শুভেন্দু অধিকারীর সভায় ঢিল ছোড়ার অভিযোগ উঠেছিল। একইসঙ্গে তৃণমূল অভিযোগ করেছিল বিজেপি সমর্থকরা তৃণমূলের ফ্ল্যাগ ফেস্টুন ছিড়ে দিয়েছে। তারই প্রতিবাদ করতে আজ মিছিল করেছিল তৃণমূল কর্মীরা। বিজেপি অভিযোগ করেছে সেই মিছিল থেকেই শুভেন্দু অধিকারীর অফিসে হামলা হয়।
শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ নেতা কনিষ্ক পন্ডা বলেছেন,”আমাদের পার্টি অফিসে ঢুকে তুলকালাম করে গেল তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। আমাদের সমস্ত আসবাবপত্র ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ওরা। আমাদের ব্যানার হোডিং ফেস্টুন সবকিছু পুড়িয়ে নষ্ট করে দিয়েছে। অফিসের ভিতরে মোটরবাইকগুলি বার করে পুকুরে ফেলে দিয়েছে। আমরা এ বিষয়ে পুলিশে অভিযোগ জানাবো।” অন্যদিকে তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি সেক্স সুফিয়ান বলেছেন, “শুভেন্দু অধিকারীর অফিসে হামলা আমাদের দলের সাথে জড়িত না। বরং গতকাল বিজেপির লোকেরা আমাদের পতাকা ব্যানার ছিড়ে দিয়েছিল। এটা হচ্ছে নতুন ও পুরনো বিজেপির মধ্যে লড়াই।”