সলমন খান (salman khan) পঞ্চাশোর্ধ্ব হয়েও এখনও বলিউডের মোস্ট এলিজেবল ব্যাচেলর। সলমন খানকে বয়ফ্রেন্ড হিসাবে দেখতে পছন্দ করেন মেয়েরা। পুরুষদের পছন্দ সলমনের শার্টলেস বডি। সলমন খানের মতো ফিটনেস চান ছেলেরা। সলমনকে নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নায়িকার সঙ্গে লিঙ্ক-আপ শোনা যায়। আপাতত সলমনের সঙ্গে অধিকাংশ সময় দেখা যায় মডেল ইউলিয়া ভন্তুর (iulia bhantour)-কে। কিন্তু খান পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সলমনের বিয়ের কোনো সম্ভাবনা নেই। এক সংবাদমাধ্যমে কারণ হিসাবে সলমন জানিয়েছিলেন, এই বয়সে বিয়ে করলে তিনি তাঁর সন্তানের বড় হয়ে ওঠা দেখতে পাবেন না।
সলমনের সঙ্গে ঐশ্বর্য রাই (Aishwarya Rai Bachchan)-এর ঘটনাবহুল সম্পর্ক কারো অবিদিত নয়। পরে এই সম্পর্ক ভেঙে যায়। ঐশ্বর্য বিয়ে করেন অভিষেক (Abhishek Bachchan)-কে। কিন্তু তারও আগে বিয়ের প্রস্তুতি শুরু হয়েও শেষ মুহূর্তে সলমনের বিয়ে ভেঙে যায়। পাত্রী ছিলেন সঙ্গীতা বিজলানী ( sangeeta vijlani)। সঙ্গীতার সঙ্গে সলমনের বিয়ের কার্ড ছেপে বিলি করা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আজহারউদ্দিন(Mohammad Azharuddin)- কে ভালোবেসে সলমনকে বিয়ে করেননি সঙ্গীতা। তবে পরবর্তীকালে আজহারকে বিয়ে করলেও সঙ্গীতার সেই দাম্পত্য টেকেনি। সলমনের সঙ্গে দীর্ঘদিন সম্পর্কে ছিলেন ক্যাটরিনা কাইফ(Katrina kaif)। কিন্তু কোনো অজানা কারণে তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে যায়। ক্যাটরিনা এখন ভিকি কৌশল (vikki kaushal)-এর সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন।
তবে সম্প্রতি একটি অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে। আজীবন নিজেকে সলমনের বেস্ট ফ্রেন্ড বলে দাবি করা সোমি আলি (somi ali) জুম টিভির একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, সলমন নাকি তাঁকে চিট করেছেন। সময়টি ছিল 1991 সাল। ষোলো বছরের টিনএজ গার্ল সোমি তখন রীতিমত মুগ্ধ সলমন অভিনীত ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ দেখে। সলমনকে নিয়ে তাঁর ভালোলাগা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে সোমি তাঁর বাবা-মাকে বলেন, তিনিও অভিনেত্রী হতে মুম্বই যেতে চান। তাঁর মা-বাবা প্রথমে মত না দিলেও সোমির জেদের কাছে হার স্বীকার করেন। কিন্তু সোমি আদৌ অভিনেত্রী হতে চাননি। তিনি সলমনকে বিয়ে করার জন্য মুম্বই আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর মা-বাবার কাছে সেই কথা তিনি প্রকাশ করেননি। আমেরিকা থেকে মুম্বইয়ের মাটিতে পা রাখার পরেই কিছু কমন ফ্রেন্ডের মাধ্যমে সোমির সঙ্গে সলমনের আলাপ হয়। সলমনকে বিয়ে করার জন্য এতটাই ডেসপারেট হয়ে গিয়েছিলেন সোমি যে, তিনি সলমনের পরিবারের সঙ্গে ভালোভাবে মিশে যান। এমনকি সলমনের মা সলমা খান (salma khan)-কে সোমি প্রভাবিত করেছিলেন। কিন্তু সোমি মুম্বইয়ে আসার আগে থেকেই সলমন সঙ্গীতাকে ‘ডেট’ করছিলেন। অপরদিকে সলমনের বেস্ট ফ্রেন্ড হয়ে ওঠা সোমি চাইছিলেন তাঁর স্ত্রী হতে। সলমন তাঁকে বারবার বোঝানো সত্ত্বেও সোমি তাঁর সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন। এইসময় একদিন একটি নাইট ক্লাবে সোমি সলমনের সঙ্গে বিয়ের কথা নিয়ে তুমুল অশান্তিতে জড়িয়ে পড়েন। বাগবিতন্ডায় রেগে গিয়ে সলমন সোমির মাথায় আইসক্রিম ঢেলে দেন। সোমি তখন সেই স্থান ছেড়ে চলে গেলেও সলমনকে বিরক্ত করা ছাড়েননি। কিন্তু সঙ্গীতার সঙ্গে সলমনের বিয়ের ঠিক হতেই সোমি বুঝতে পারেন, তাঁর হাত থেকে পরিস্থিতি বেরিয়ে গেছে। সোমি আমেরিকায় ফিরে যান।
জুম টিভির সাক্ষাৎকারে সোমি দাবি করেছেন সলমনের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ নেই। অথচ এখনও আমেরিকা গেলে সলমন দেখা করেন সোমির সঙ্গে। সোমি কিছুদিন আগেও সলমনকে নিজের বন্ধু বলতেন। এমনকি সলমনের ‘বিইং হিউম্যান’-এর ধাঁচে সোমিও একটি সংস্থা গড়ে তুলেছেন। সোমি এখনও বিয়ে করেননি। তাহলে হঠাৎ এমন কি হল যার জন্য সোমিকে মিডিয়ায় সলমনকে নিয়ে নেগেটিভ কথা বলতে হচ্ছে?