করোনার সর্বগ্রাসী আতঙ্কের মধ্যেও বলিউড থেকে এল একটি ভালো খবর। করোনামুক্ত হলেন সোনু সুদ (sonu sood)। 23 শে এপ্রিল সোনু ইন্সটাগ্রামে নিজের একটি নীল শার্ট ও মুখে মাস্ক পরা ছবি শেয়ার করেছেন যার একপাশে রয়েছে সবুজ রঙের নেগেটিভ সিম্বল। ছবির ক্যাপশনেও সোনু নিজেকে করোনামুক্ত বলেছেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই সোনুর পোস্টের ভিউয়ারস পাঁচ লক্ষ ছাড়িয়ে যায়। সোনুর উচ্ছ্বসিত অনুরাগীরা তাঁর সুস্থ হয়ে ওঠার খবরে আনন্দ প্রকাশ করেছেন। অভিনেত্রী সোনালী চৌহান (Sonali chouhan) লিখেছেন, সোনুর সুস্থ হয়ে ওঠার খবর তাঁর কাছে এখনও অবধি আসা সবচেয়ে ভালো খবর।
নিজে সুস্থ হতে না হতেই সোনু সুদ আবারও এগিয়ে এলেন সাধারণ মানুষের সাহায্যার্থে। করোনা আক্রান্ত হয়ে রীতিমত আশঙ্কাজনক অবস্থায় নাগপুরের একটি সরকারী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পঁচিশ বছর বয়সী তরুণী ভারতী (bharti)। ভারতীর বাবা পেশায় একজন রেলকর্মী। ডাক্তাররা ভারতীকে পরীক্ষা করে জানিয়েছেন, ভারতীর হার্টের আশি থেকে নব্বই শতাংশ করোনা সংক্রমণের ফলে নষ্ট হয়ে যেতে বসেছে। তাঁর বাঁচার আশা খুব কম। সোনুর কাছে এই খবর পৌঁছাতেই তিনি সময় নষ্ট না করে এয়ার-অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে ভারতীকে নাগপুর থেকে হায়দরাবাদ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। সোনু জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে হায়দরাবাদের অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ভারতী। অ্যাপোলোর ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী ভারতীর শরীরে ECMO নামে একটি বিশেষ ধরনের ট্রিটমেন্ট করা হচ্ছে যার মাধ্যমে শরীরে কৃত্রিমভাবে রক্ত সঞ্চালন ঘটিয়ে হার্টের প্রেসার হ্রাস করা যায়। সোনু ভারতীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।
গত সপ্তাহে সোনু নিজেও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেই কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়ে বলেছিলেন, সমস্ত নিয়ম মেনে কোয়ারেন্টিনে থাকলেও তাঁর মন কিন্তু চাঙ্গা রয়েছে। তিনি তাঁর অনুরাগীদের ইতিবাচক ভাবনা ভাবতে বলেছিলেন। কোয়ারেন্টিনে থেকেও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মানুষকে সাহায্য করার কাজ চালিয়ে গেছেন সোনু।
গত বছর লকডাউনে সময় একাধিক পরিযায়ী শ্রমিককে তাঁদের বাড়িতে ফিরতে সাহায্য করেছিলেন সোনু। এরপর থেকেই সোনুকে ‘মসীহা’ বলা হতে থাকে। তেলেঙ্গানা সরকারও তাঁকে সম্মানিত করেন। তেলেঙ্গানার বেশ কয়েকটি শিশুর অপারেশনের দায়িত্ব নিয়েছিলেন সোনু।