যুব মোর্চার সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সৌমিত্র খাঁ
তবে শুধুমাত্র কি মতানৈক্য নাকি মন্ত্রিসভায় ঠাঁই না পাওয়া? কি কারণ সৌমিত্রর ইস্তফার
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় হতে চলেছে রদবদল। অনেক সংসদ যারা এতদিন পর্যন্ত মন্ত্রী ছিলেন না এবারে তারা পূর্ণ মর্যাদা ক্যাবিনেট মন্ত্রী হতে চলেছেন। কিন্তু এই ক্যাবিনেট মন্ত্রীদের তালিকায় নাম নেই সৌমিত্র খাঁ এর। রাজনৈতিক মহলের মতামত সেই জন্যই ক্ষুব্ধ হয়ে রাজ্য বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন সৌমিত্র খাঁ। ফেসবুকে একটি পোস্ট করে নিজের ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে দিয়েছেন এই যুবনেতা।
তবে সৌমিত্র খাঁ এর রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কোনো রকম জল্পনা রাখতে চাইছেন না তিনি। তিনি ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন তিনি সব সময় বিজেপির একজন একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে কাজ করে যাবেন। কিন্তু, কোন কারনে তার এই ইস্তফা সেই নিয়ে বাড়ছে জল্পনা। তবে নিজের ইস্তফার কারণ নিয়ে তেমন কিছু খোলসা করে জানাননি বিষ্ণুপুরের সাংসদ।
তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ঠাঁই না পাবার কারণে কি ইস্তফা? যদিও এই সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপি যুব সভাপতি। তবে মনে করা হচ্ছে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তার একটি মতানৈক্য চলছে। একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথোপকথনের সময় সৌমিত্র খাঁ এই বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে স্বীকার করে নিয়েছেন। সৌমিত্র বলেছেন, সম্পূর্ণ বিজেপিটা এখন পূর্ব মেদিনীপুর পশ্চিম মেদিনীপুর চালাচ্ছে। কাজেই, মনে করা হচ্ছে সৌমিত্র খাঁ সরাসরি পূর্ব মেদিনীপুরের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষের দিকে তিনি সরাসরি আঙুল তুলেছেন।
তার পাশাপাশি বিজেপি সূত্রে খবর, সৌমিত্র খাঁ এর ইস্তফা ইচ্ছা প্রকাশ করার মূল কারণ হলো তার মন্ত্রিত্ব না পাওয়া। বুধবার নাকি দুপুর একটা পর্যন্ত দিল্লি থেকে ফোন পাওয়ার আশা করেছিলেন তিনি। কিন্তু তার কাছে কোন ফোন এলো না। তার নাম মন্ত্রিসভায় আছে কিনা সেই খোঁজ নিতে বেশ কয়েকবার শিব প্রকাশ কে ফোন করেছিলেন তিনি। কিন্তু তার পরেও তিনি জানতে পারেন দিল্লি থেকে এবারের মতো ডাক আসছে না। তারপরেই ফেসবুকে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি বিজেপি যুব মোর্চার প্রেসিডেন্ট পদ ত্যাগ করেন।