কলকাতা: সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাদা স্নেহাশীষ গঙ্গোপাধ্যায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। যদিও তিনি বর্তমানে সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। তবে সেই সময়ে সৌরভ ও তাঁর পরিবার কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। তারপর আসে আইপিএলের আসর, দাদাগিরির শুটিং। এদিকে দেশের অবস্থা মোটেই করোনার দিক থেকে ভাল নয়। তবুও আনলক পর্ব শুরু হওয়ার ফলে কাজে ধীরে ধীরে ফিরতেই হতো। তাই আর পাঁচজনের মতো বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও কাজে ফিরেছিলেন। কিন্তু মনে একটা আতঙ্ক দানা বেঁধেছিল সব সময়। স্নেহাশীষ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সময় পরিবারের অন্যান্যদের মত সৌরভ নিজের করোনা পরীক্ষা করিয়েছিলেন। যদিও সেই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তবে এর থেকেও আশ্চর্যের বিষয় হল তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত অর্থাৎ গত সাড়ে চার মাস ধরে মোট ২২ বার করোনা পরীক্ষা করিয়েছেন সৌরভ।
একে তো বাড়িতে করোনার থাবা, অন্যদিকে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হওয়ার সুবাদে দেশ-বিদেশে যাতায়াত লেগেই ছিল মহারাজের। কখনও দুবাই তো কখনও কলকাতা। আইপিএল চলাকালীন এটাই রোজনামচা হয়ে উঠেছিল সৌরভের। আর তার মাঝে কখনও কখনও রাজারহাটের ডিআরআর স্টুডিওতে যেতে হতো দাদাগিরির শুটিংয়ের জন্য। তাই প্রত্যেক মুহূর্তে করোনা ভাইরাস অজান্তেই শরীরে ঢুকে পড়ছে কিনা, এই আতঙ্ক গ্রাস করেছিল মহারাজকে। আর সে কারণেই ২২ বার পরীক্ষা করেছিলেন মহারাজ।
মঙ্গলবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে করোনা, আইপিএল এবং ভারতের আগামী অস্ট্রেলিয়া সফর প্রসঙ্গে অনেক কিছুই বলেন মহারাজ। আর তাতেই এই তথ্য উঠে আসে। সৌরভ বলেছেন, ‘আমার দাদা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর আমরা সবাই চিন্তিত হয়ে পড়েছিলাম। বাড়িতে সানা এবং অন্যান্য বাচ্চারাও ছিল। তাই হয়তো একটা ভয় ছিল। তবে করোনা পরীক্ষা করিয়ে বাকিদের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তারপর আইপিএল শুরু হওয়ায় দেশ-বিদেশ যাওয়া লেগেইছিল। তাই করোনা পরীক্ষা করাতে হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিদেশের মাটিতে আইপিএল করাটা মোটেই সহজ ছিল না। তবে সবটাই পরীক্ষা করেছি। একবারও নেগেটিভ আসেনি। এটাই স্বস্তি দিয়েছে। আবার আগামীতে ভারতের রয়েছে অস্ট্রেলিয়া সফর। আর তাতেও সবরকম সুরক্ষা মেনে সফরের আয়োজন করা হয়েছে। এমনকি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকেও সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমি প্রত্যেকটা মুহূর্তে করোনা আতঙ্কে দিন কাটিয়েছি। তাই গত সাড়ে চার মাসে ২২ বার করোনা পরীক্ষা করিয়েছি আমি। তবে ভগবানের অসীম কৃপা একবারও রিপোর্ট আসেনি।’ এভাবেই অকপটে এ কথা স্বীকার করেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট।













