দেখতে দেখতে এগিয়ে আসছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ পুজো দুর্গা পুজো। আর আগামী মাসেই আগের তুলনায় বাড়তে চলেছে বিদ্যুতের চাহিদা। সেই কথা মাথায় রেখেই সেপ্টেম্বরের শেষে এসে ফের আগের মতো বিদ্যুতের চাহিদা ফিরল গোটা রাজ্যে। চাহিদা ফিরেছে কর্মাশিয়াল এবং রেসিডেন্সিয়াল দুটি ভাগেই ।
মার্চের শুরুতে গোটা রাজ্যে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৮ হাজার মেগা ওয়াট। কিন্তু আনলক পর্ব শুরু হতেই আগের মতো বিদ্যুতের চাহিদা আবার ফিরে এসেছে। এসবের মাঝেই কলকারখানায় আবার কাজ শুরু হতেই বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। তার মাঝে আবার সামনের মাসেই দুর্গাপূজা। পুজোর আলোক সজ্জায় অল্প হলেও লাগবে বিদ্যুতের চাহিদা। প্রতিবারের মতন এবছর পুজো বড় করে না হলেও হবে দুর্গা পুজো।
রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর জানিয়েছে তারা পুজোর জন্য প্রস্তুত। পুজোর দিনগুলিতে ৮৪১৪ মেগাওয়াট চাহিদা ধরা হয়েছে। মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “আবেগের সঙ্গে সমঝোতা নয়। চাহিদা মতো বিদ্যুৎ মজুত রাখা হচ্ছে। অনেক ক্লাব বলেছে কম আলো লাগবে। তাও আমরা প্রস্তুত।” করোনা বিধি মেনেই এবছর হতে চলেছে দুর্গাপুজো। সেখানে নানা নিয়ম নিয়ে পুলিস সুপার, পুলিশ কমিশনারদের বিশেষ নির্দেশ দিলেন ডিজি। জানানো হয়েছে প্রত্যেক থানার ওসি বা আইসিরা ওই নির্দিষ্ট এলাকার পুজো কমিটি গুলোর সঙ্গে আলোচনা করবেন।
জানতে হবে এবছর তাঁরা কীভাবে পুজোর প্ল্যানিং করছেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হবে কিনা পুজো মণ্ডপে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কীভাবে সচেতনতা প্রচার করা হবে এবং স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা থাকবে কিনা। সবকিছুর তথ্য পাঠাতে হবে এসপি ও সিপিকে। এবার দেখার বিষয় পুজো কমিটিগুলি কিভাবে পুলিশকে সহযোগিতা করে এবং সবকিছু মেনে সঠিকভাবে তা বজায় রেখে চলে।