দলে তিনি এসেছেন ২০১৯ সালের আগস্টে। তার প্রায় দেড় বছর পর বিজেপির প্রকাশ্য কর্মসুচিতে দেখা গেল শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chaterjee) এবং তার বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Baishakhi Banerjee)। এইদিন গোলপার্ক থেকে সেলিমিপুর পর্ক্সন্ত রোড শো করলেন শোভন-বৈশাখী। তার আগে বহিরাগত তত্ত্বকে নিয়ে তৃণমূল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করতে দেখা গেল বিজেপি নেতা তথা কলকাতার পর্যবেক্ষক শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। স্মরণ করিয়ে দিলেন যে এনডিএ-এর শিক থাকার কথা।
এই দিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন,”যারা বহিরাগত বলছেন, তারাই তো একদিন সর্ব ভারতীয় পার্টির শরিক দল ছিল। ভারতীয় জনতা পার্টির সহযোগিতায় জন্ম হয়েছিল তাদের দলের। আজকে বহিরাগত বলার আগে নিজেদের উচিৎ একবার আয়নায় দাঁড়ানো এবং দেখা।” এর সাথে শোভন আরও দাবি করেছেন, বিজেপির সরকারই বাংলায় গড়তে চলেছে।
আগের সোমবার মিছিলে উপস্থিত ছিলেন না শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। শঙ্কুদেব পণ্ডাকে নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা আসেননি বলে বিজেপি সূত্রের খবর। তবে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। আর জ্বর হয়েছিল শোভনের। সেই কারণেই এই সোমবার মিছিলে আসতে পারেননি তারা। তবে রাজনৈতিক মহলে এই বিষয়কে নিয়ে শুরু হয় জল্পনা। গেরুয়া শিবিরে যোগদানের পর থেকে এখনও পর্যন্ত একটি কর্মসূচিতেও দেখা যায়নি শোভন এবং বৈশাখীকে। এইদিন অবশেষে হল সমস্ত জল্পনার অবসান। জল্পনার অবসান করেই এই দিন মিছিলে সামিল হন। গোলপার্ক থেকে সেলিমপুর পর্যন্ত রোড শো করে বিজেপি। কর্মী-সমর্থকরাও ভিড় জমিয়েছেন। এ দিন রানাঘাটের সভায় মমতা দাবি করেছেন, তিনি সোনার বাংলা গড়েছেন। ওই মন্তব্যে শোভনের কটাক্ষ, ‘গরুপাচার, কয়লাপাচারের সোনার বাংলা আমরা এই সব চাইনি।’