শ্রেয়া চ্যাটার্জি : সমুদ্রের ধারে বেড়াতে যেতে আমরা কে না ভালোবাসি। মনের ক্লান্তি কাটাতে সমুদ্রের নীল জলরাশি আমাদের যে পরিমাণ আনন্দ দেয় কোন পার্থিব বস্তুর পক্ষে সেই পরিমাণ আনন্দ দেওয়া সম্ভব না। প্রাকৃতিক যে পরিবেশ আমাদের এত আনন্দ দিচ্ছে, আমরা কি একবারও সেই জলরাশি স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রেখেছি? কথাটা শুনতে অবাক লাগলেও বিষয়টি কিন্তু একেবারেই উড়িয়ে দেওয়ার বিষয় নয়। সমুদ্রের ধারে বেড়াতে গিয়ে আমরা দূষিত করছি সমুদ্রতট। ফেলছি প্লাস্টিকের জলের বোতল, প্লাস্টিকের খাবারের প্যাকেট কি কি শুরু করে আরো কত কি না ওরা। কিছু সমুদ্রতটে পড়ে থাকছে আবার কিছু সমুদ্রের মধ্যে মিশে গিয়ে ক্ষতি করছে সামুদ্রিক জীব জন্তুর। আমরা কি সত্যিই এটা ঠিক করছি? একবার নিজের মনকে প্রশ্ন করে দেখবেন। মনের ভেতর থেকে উত্তর আসবে ‘না’। এটা ঠিক হচ্ছে না। এইভাবে প্রাকৃতিক পরিবেশ কে নষ্ট করা আমাদের কখনই উচিত নয়।
প্রাকৃতিক পরিবেশকে সুন্দর করতে অনেকেই এগিয়ে এসেছেন, তার মধ্যে এই স্পাইডারম্যান ও আছেন। না উনি কোন সিনেমার হিরো না, বা সমুদ্রতটে হঠাৎ করে স্পাইডারম্যান সাজা মানুষটিকে দেখে আপনি হয়তো ভাবতেই পারেন এখানে সিনেমার শুটিং চলছে কিন্তু না। আপনি যা দেখতে পাবেন সবটাই বাস্তব। বছর ৩৬ এই ক্যাফে কর্মীর মাথায় এসেছে দুর্দান্ত ভাবনাটি। বাচ্চাদের প্রিয় পছন্দের নায়ক স্পাইডারম্যান সেজে তিনি ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্রতটের আবর্জনা পরিষ্কার করছেন। মহান এই ব্যক্তিটির নাম রুডি হারটোনোর। বাচ্চাদের কাছে ইনি স্পাইডার ম্যান হলেও সমাজের কাছে কিন্তু তারই কাজটাকে সুপার ম্যানের জায়গায় নিয়ে গেছে।
হঠাৎ করে তার এমন অদ্ভুত ধারনা মাথায় এলো কেন?এত পোশাক থাকতে তিনি হঠাৎ স্পাইডারম্যানের পোশাক পরে কেন সমুদ্রতটের আবর্জনা পরিষ্কার করতে গেলেন? এর উত্তরে তিনি বলেন স্পাইডারম্যান যেহেতু বাচ্চাদের কাছে একটা প্রিয় চরিত্র, তাই তাকে দেখে বাচ্চারা অনুপ্রাণিত হবে। শিশুরাই তো আমাদের ভবিষ্যৎ। তারা যদি এমন স্পাইডারম্যানের কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেরাও এগিয়ে আসে তাতে আমাদের সর্বোপরি সকলের কল্যাণ হবে। তাই তার এমন ধারনা কে কুর্নিশ জানাতে হয়।