টলিউডবিনোদন

দেবশ্রী রায়কে নিয়ে নানারকম ট্রোলিং, মুখ খুললেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র

Advertisement

চার বছর পর পুরোপুরি ফুল ফ্রেজে অভিনয় জগতে পা রাখছেন অভিনেত্রী দেবশ্রী। গৃহবধূ সর্বজয়া হয়ে জি বাংলার হাত ধরে বাঙালির ড্রয়িং রুমে পা রাখছেন সুন্দরী দেবশ্রী। রাজনীতির পাঠ ভুলে আবারও অভিনয়কে গুরুত্ব দিলেন অভিনেত্রী। চার বছর পর ক্যামেরার সামনে অভিনয় করতে পেরে অভিনেত্রীও খুব খুশি। ইতিমধ্যে এই ধারাবাহিকের প্রথম প্রোমো রিলিজ হয়ে গিয়েছে টেলিভিশন সহ সোশ্যাল মিডিয়ার পেজে। এই প্রমোতে দেখানো হল সর্বজয়া ওরফে দেবশ্রী এক ধনী পরিবারের পাকাপোক্ত গৃহিনী।

সর্বজয়ার প্রথম প্রমো সকলের সামনে আসতেই নেটিজেনদের কোপে পড়েন অভিনেত্রী দেবশ্রী। কুরুচিকর মন্তব্য, ট্রোল, আর মিমের কেন্দ্রবিন্দুতে দেবশ্রী রায়। অনেকে রাজনীতি নিয়েও কটাক্ষ শুরু করেন। অনেকে মন্তব্য করেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রীকে বউমার চরিত্রে একবারেই মানাচ্ছে না। এই বয়সে দেবশ্রীর উচিত ছিল শাশুড়ির চরিত্রে অভিনয় করা। তবে এই বর্ষীয়ান নায়িকার এই অপমানের পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভাস্বর, জয়জিতের মতো অভিনেতারা।

অভিনয়ের এই বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন খোদ দেবশ্রী। অভিনেত্রী আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেছিলেন, অভিনেত্রীর এই অপমানে এক জন অভিনেত্রীও এখনও পর্যন্ত তাঁর জন্য কোনো শব্দ খরচ করলেন না। এরপর দেবশ্রীর পাশে এসে দাঁড়ালেন ইন্ডাস্ট্রির সহকর্মী শ্রীলেখা মিত্র। শ্রীলেখা বলেন, চুমকি দি টলিপাড়ার সবার ভীষণ আদরের আর সম্মানের। কলকাতার রসোগোল্লা অনেক কিছু দিয়েছে এই টলিউডকে। তাঁকে দেখে অনেক কিছু শিখেছেন শ্রীলেখা। তিনিও অন্য অভিনেত্রীদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখেন, এখন অভিনেত্রীরাই অন্য অভিনেত্রীদের শারীরিক গঠন, খামতি নিয়ে কথা বলে মজা পান। কারোর এ সবে কিচ্ছু যায়-আসে না।

পাশাপাশি তিনি দেবশ্রীকে আরো বলেন, ‘চুমকি দি যেন কাউকে ক্ষমা না করে। দরকারে মুখের উপর সপাটে জবাব দেন। মন্তব্য আপনা থেকেই বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু পাত্তা না দেওয়ার উপদেশ দিলেন। শ্রোলেখা আরো বলেন, ‘আমরা যেন জন্মেই নাম-যশ-অর্থ-খ্যাতি সব পেয়ে গিয়েছি। বোঝেই না, কত ব্যথা, অপমান লুকিয়ে তুমি দেবশ্রী রায় হয়েছ। আসলে ওরা সবাইকে হিংসা করে। ঈর্ষাও করে। জ্বালা, নিরাপত্তাহীনতা, হীনমন্যতা থেকে সকলে আমাদের অপমান করে।

আমাদের মন ভেঙে এরা আসলে জনপ্রিয়তার সিঁড়িতে চড়তে চায়। সেই জায়গা থেকে বয়স নিয়ে, রূপ নিয়ে, শরীর নিয়ে কটাক্ষ করতেও ভোলেনা কেউ। মূল্যবোধ, মানুষকে সম্মান দেওয়ার অনুভূতিটাই আস্তে আস্তে মরে যাচ্ছে এই সমাজে’।একটু আক্ষেপের সুরেই শ্রীলেখাকে বলতে শোনা যায়, ‘কলকাতার রসগোল্লা’ একটা সময় সবার মুখে মুখে ফিরত। সেই গান দিয়ে অপমান! সত্যিই কিচ্ছু বলার নেই’। শ্রীলেখার এই মতামত দেখে বহু অনুগামীও সহমত জানিয়েছেন।

Related Articles

Back to top button