ডিভোর্সের পর রোহিত সেনের এন্ট্রি শ্রীময়ীর জীবনে! বিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন ধারাবাহিকের লেখিকা
বাঙালি মা কাকিমা ধারাবাহিকের মধ্যে প্রিয় ধারাবাহিক হল ‘শ্রীময়ী’। ধারাবাহিকের শুরু থেকেই দেখানো হয়েছিল হয় শ্রীময়ী একজন গৃহবধূ। শ্বশুর, শাশুড়ি, স্বামী আর তিন সন্তানকে নিয়ে সংসার। চিরকাল শশুরবাড়ি, স্বামী, সন্তানদের কাছে অবহেলিত একটি চরিত্র শ্রীময়ী। আর শ্রীময়ীর দুঃখকে মা কাকিমার নিজের দুঃখ মনে করা শুরু করেন। আর তাতেই শ্রীময়ীর টিআরপি বেশ ভালো। আর পিছনে দায়ী ইন্দ্রানী হালদারের অভিনয়।
বাঙালির এই প্রিয় ধারাবাহিক দেখতে দেখতে ৬০০ পর্ব পার করে ফেলছে। স্বামীর কাছে অবহেলিত, জুন আন্টির চক্রান্ত, ডিঙ্কার অসুখ, দিঠির হারিয়ে গিয়ে উদ্ধার হওয়া সব মিলিয়ে ৬০০ পর্ব পেরিয়েও আজ বহু বাঙালীর কাছে প্রিয় ধারাবাহিক এই শ্রীময়ী। নারীকেন্দ্রিক ধারাবাহিকে শ্রীময়ী যেমন প্রধান নায়িকা শ্রীময়ী তেমনই নায়ক হল রোহিত সেন। অনিন্দ্যর সাথে শ্রীময়ীর ডিভোর্সের পর রোহিত সেনের এন্ট্রি শ্রীময়ীর জীবনে। শুধু শ্রীময়ী নয়, তাঁর গোটা পরিবারের সব বিপদে থেকেছেন রোহিত বাবু। এছাড়া এদের কেমিস্ট্রি নজর কেড়েছে সকলের।
রোহিত যুবক অবস্থায় কলেজ জীবন থেকে দৃঢ়ভাবে ভালোবেসে এসেছে শ্রীময়ীকে। শ্রীময়ীর কষ্টে রোহিতবাবুর মন কেঁদে উঠেছে। শুধুমাত্র শ্রীময়ীকে ভালোবেসে আজ ও রোহিতের জীবনে কেউ আসেনি। দর্শক বুঝলেও কিছুতেই বুঝতে পারছেনা শ্রীময়ী। রোহিত সেনের সঙ্গে নতুন সংসার হোক শ্রীময়ীর। এই দাবি দিঠি, ডিঙ্কা সাথে অন্যান দর্শকদের। এই নিয়ে বহু দর্শক সোশ্যাল মিডিয়াতে সরব হয়েছেন বার বার। শ্রীময়ী আর রোহিতের মিলন নিয়ে কি বলছেন লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়।
সম্প্রতি শ্রীময়ীর লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায় এক সাংবাদিকদের সাথে এক ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকারে আড্ডা দিয়েছিলেন, আর এতেই রোহিত আর শ্রীময়ীর বিয়ে হবে কিনা তা নিয়ে তিনি স্পষ্ট কিছু কথা জানান, তিনি জানেন,অনেকই নারীর জীবনে এইরকম একজন করে রোহিত সেন আছেন, তাঁরাও নিজের সংসার ভুলে রোহিত সেনের হাত ধরতে পারেননি। সেই রাগ থেকেই নানান কমেন্টস তিনি পান। তিনি আরো বলেন, শ্রীময়ী আগে একজন মা। এক মায়ের কাছে সবচেয়ে প্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ তাঁর ছেলেমেয়ে। নিজের মতো করে বাঁচার আগে ছেলে মেয়ের বিপদে ঝাঁপিয়ে যাওয়া আগে মনে করে শ্রীময়ী। সব কিছু উপেক্ষা করে রোহিত সেনের সাথে নিজের জীবন এগিয়ে যাওয়া তা শ্রীময়ীর চরিত্র নয়।
লীনা বলেন, চারপাশে যা ঘটে থাকে সেই লেখাই তিনি তাঁরই প্রতিফলন চিত্রনাট্যে। তিনি যদি তাঁর পরিচিত মহলে শ্রীময়ীর বয়সের কোনও নারী তাঁর সন্তানের সব বিপদ উপেক্ষা করে রোহিত সেনের মতো একজনের সঙ্গে সংসার করেন তা তিনি নিজেই ব্যক্তিগতভাবে মানতে পারবেননা। তাই লেখিকা হয়েও তাঁর চিত্রনাট্যে রোহিত আর শ্রীময়ীর বিয়ে নিয়ে কিছু লেখা হয়নি। তবে পরবর্তী কালে চিত্রনাট্য এইরকম ঘটনা তিনি লিখতে পারেন। তবে এটা লিখবেন তার কোনো নিশ্চিয়তা নেই।
আজকের দিনে নিজের সংসার বাঁচানোটাই শ্রীময়ীর কাছে জরুরি। এখন চিত্রনাট্যে দিঠিকে ছোটুর থেকে আলাদা করা মূল লক্ষ হয়ে উঠেছে শ্রীময়ীর। আর শ্রীময়ীর কাছে রোহিত সেন হল এমন এক বন্ধু। যার সাথে সব ভালো মন্দ আর নিজের বেঁচে থাকার রসদ পান তিনি। লীনা দেবী আরো বলেন শ্রীময়ী এই চরিত্রের মধ্যে তিনি নিজেকে দেখেছেন। বহু মা কাকিমাকে দেখেছেন। তাঁর চারপাশে অনেকে আছে, আম যাঁদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস অনেক কম থাকে। তবে এই ধারাবাহিক দেখে নিজেরা সাহস পান কিছু করার।