বিনোদনবলিউড

‘আরআরআর’এর প্রচারে শহরে এলেন রাজামৌলি, জুনিয়র এনটিআর ও রাম চরণ

Advertisement

মঙ্গলবার সকাল থেকেই ছোটেলাল ঘাট ছিল সরগরম। কারোর একটা আশার তোড়জোড় চলছিল সেখানে। সেখানে এদিন কারা আসতে চলেছেন সেই নিয়ে চলছিল জোর তরজা। কেউ বলছিলেন শাহরুখ খান, আবার কেউ বলছিলেন মোদি, আমার কেউ আন্দাজ করেছিলেন দেব আসতে চলেছে। তবে না শেষপর্যন্ত সকলকে চমকে দিয়ে ১০-১২ জন দেহরক্ষীকে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন দক্ষিণী পরিচালক এস এস রাজামৌলি। তার সাথে উপস্থিত ছিলেন জুনিয়র এনটিআর ও রাম চরণ।

এদিন এস এস রাজামৌলি ছাই রঙে ‘আরআরআর’ লেখা নীল রঙের শার্টে দেখা দিয়েছিলেন। পাশাপাশি জুনিয়র এনটিআরকে দেখা গিয়েছে লাল শার্টে, অন্যদিকে রাম চরণকে দেখা গিয়েছে সাদা কালো পোশাকে। দুজনের চোখেই ছিল রোদচশমা। পিছনে হাওড়া ব্রিজ, গঙ্গা ও সূর্যকে মাথার উপরে রেখেই নিজের ছবির প্রচার করলেন রাজামৌলি। প্রথমে এসেই রাজামৌলি নাম করেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর। পরিচালক জানান ছবিতে যে দুজন দেশপ্রেমিক ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রাম চরণ ও জুনিয়র এনটিআর তাদের অনেক আগেই কুর্নিশ জানিয়েছিলেন নেতাজি।

কথায় কথায় পরিচালক জানান তিনি সিনেমাকে বলিউড-টলিউড কিংবা বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে ভাগ করেন না। তার কাছে একটা ভালো ছবি মানে সেটা গোটা ভারতের। জুনিয়র এনটিআর জানিয়েছেন, তার কাছে কলকাতা মানে কেনাকাটা আর খাওয়া-দাওয়া। তিনি জানান, খুব শীঘ্রই নিজের স্ত্রীকে নিয়ে তিনি কলকাতায় আসবেন শাড়ি কিনতে। রাম চরণ পরিচালক সম্বন্ধে বলেন, রজমৌলির সাথে কাজ করতে গেলে নিজের ১০০% দিতে হয়। ৯৯% দিলে সেই শট তিনি বাতিল করে দেন। অল্প কথায় অভিনেতা বুঝিয়ে দিয়েছেন পরিচালক ঠিক কি রকম।

ছবির প্রচারেও কম খরচা করছেন না পরিচালক। চার্টার্ড বিমানে ছয় শহরে চার দিনে দুই অভিনেতাকে নিয়ে প্রচারে ঘুরছেন পরিচালক। বরোদাতে প্রচার সেরে পৌঁছে গিয়েছিলেন দিল্লিতে। দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনে আমির খান এসে রীতিমতো জমিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর তারা চলে যান জয়পুরের হাওয়া মহলে। সেখানে প্রচার সেরে তারা পৌঁছান অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে। মঙ্গলবার চলে আসেন কলকাতায়। সন্ধ্যার মধ্যেই তারা পৌঁছে যাবেন কাশিতে সন্ধ্যা আরতির আগেই।

Related Articles

Back to top button