গরু পাচারকাণ্ড মামলায় আজ সোমবার সিবিআই ফের বীরভূমের প্রভাবশালী তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে হাজিরা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু পুরনো ধারা বজায় রেখেই গতকাল অনুব্রতর আইনজীবীরা জানিয়ে দিয়েছিল আজ সিবিআই দপ্তরে উপস্থিত থাকতে পারবেন না অনুব্রত মণ্ডল। আজকে তার এসএসকেএম হাসপাতালে রুটিন চেকআপ আছে। গতকালের এই খবরের পর থেকেই সোমবারের সকাল হয়ে উঠেছিল অনুব্রতময়। তিনি কি হাসপাতালে ভর্তি হবেন কি হবেন না? এই প্রশ্নে উত্তাল হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। আজ ১১ টা নাগাদ চিনার পার্কের ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে অনুব্রত মণ্ডল সোজাসুজি পৌঁছে যান এসএসকেএম হাসপাতাল। সেখানে তাঁর জন্য প্রস্তুত ছিল উর্ডবার্ন ওয়ার্ডের ২১৬ নম্বর ঘর।
তবে অনুব্রত মণ্ডলকে চেকআপ করার পর মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, “হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই। ক্রনিক প্রবলেম রয়েছে। তবে এখন ভর্তি হওয়ার কোনো দরকার নেই। সব রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। স্ট্রেস রয়েছে বলে দেখে মনে হচ্ছে না।” এই মেডিকেল বোর্ডের মধ্যে ছিলেন জেনারেল সার্জেন দিপ্তেন্দু সরকার, কার্ডিওলজিস্ট সরোজ মন্ডল, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সৌমিত্র ঘোষ, চেস্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সোমনাথ কুন্ডু ও আরও ৭ চিকিৎসক।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করেছিলেন যে আজ হয়তো অনুব্রত মণ্ডলকে ভর্তি নিয়ে নেবে এসএসকেএম হাসপাতাল। কিন্তু অদ্ভুতভাবে এসএসকেএম অনুব্রত শারীরিক সমস্যার বিষয়ে ক্লিনচিট দিল। সমালোচকদের কাছে এমন সিদ্ধান্ত যেন উলটপুরান। আসলে দুই সপ্তাহ আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ইস্যুতে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল এসএসকেএম মেডিকেল বোর্ডের সদস্যদের। এমনকি তাদের রিপোর্ট যাচাই হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। ভুবনেশ্বর ইএসআই কার্যত নস্যাৎ করে দিয়েছিল এসএসকেএমের রিপোর্টকে। তাই হয়তো এবার অনুব্রতর ক্ষেত্রে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ বিতর্ক থেকে সরে দাঁড়াতে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, “হাসপাতালে ভর্তি প্রয়োজন নেই!”