গত সোমবার থেকে বঙ্গ রাজনীতি সরগরম হয়ে রয়েছে চার হেভিওয়েট নেতার নারদ কান্ডে গ্রেপ্তারি ঘিরে। নাটকীয় কায়দায় তাদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে প্রথমে নিজাম প্যালেস নিয়ে যাওয়া হয় ও রাতের দিকে হাইকোর্টের নির্দেশে প্রেসিডেন্সি জেলে হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু নারদ কান্ডে গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন অভিযুক্ত চার নেতা। তাদের একাধিক শারীরিক সমস্যার সাথে সাথে মানসিক উদ্বেগ বাড়ায় সোমবার রাতের মধ্যেই মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে এসএসকেএম উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেদিন থেকেই তাদের চলছে নিয়মমাফিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা। এরইমধ্যে শোভন চট্টোপাধ্যায় সিরোসিস অফ লিভার রোগে আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে কিছুদিন আগে করোনা আক্রান্ত হওয়ায় মদন মিত্রের ফুসফুসের ক্ষত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এসএসকেএম সূত্রে জানা গেছে গতকাল ইউএসজি করা হয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। তাতে তার লিভার সিরোসিসের কথা জানা গেছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এটা দীর্ঘদিনের রোগ। তবে সম্প্রতি সমস্যা বেড়েছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা শুরু করতে হবে। অন্যদিকে, কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের বুকে রয়েছে সংক্রমণ। কিছুদিন আগেই তিনি করোনা জয় করেছেন। কিন্তু করেনা সেরে গেলেও তার ফুসফুসে অনেক ক্ষত রয়ে গেছে। পরীক্ষা করে নিশ্চিত করা হয়েছে যে তার ফুসফুসে রয়েছে কোভিড প্যাচ। এছাড়াও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়ও।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে তিনজন নেতার সিওপিডির সমস্যা রয়েছে। তাই তাদের প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। মেডিকেল বোর্ড ইতিমধ্যেই সব পরীক্ষা রিপোর্ট দেখে নিয়েছে। এখন মদন মিত্রকে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে যাতে তার শ্বাসকষ্ট কমে। অন্যদিকে সিওপিডি সমস্যা থাকার জন্য শোভন চট্টোপাধ্যায় ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে নেবুলাইজার দেওয়া হচ্ছে।