ব্যবসা-বানিজ্য ও অর্থনীতি

বাড়ি বসে শুরু কর নতুন ব্যবসা, ৫,০০০ টাকা বিনিয়োগ করে আয় করুন লাখ টাকায়

আজকালকার দিনে ডিজাইনার গয়নার ব্যবসা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে

Advertisement

আপনি যদি কোম্পানির থেকেও ভালো কোন একটা ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই কিছু একটা সৃজনশীল কাজ করতে হবে। কোম্পানির পণ্যের থেকে আপনার তৈরি করা পণ্যের মান অনেকটা ভালো হতে হবে এবং এর সৃজনশীলতা কোম্পানির পণ্যের থেকে ভালো হতে হবে। তাহলে কিন্তু আপনি আপনার জিনিস বেশ ভালো দামে বিক্রি করতে পারবেন এবং আপনার ব্যবসা ভালো চলবে। আজকে আমরা আপনাকে এরকমই একটি ব্যবসার আইডিয়া দিতে চলেছি যার মাধ্যমে মাত্র ৫,০০০ টাকা বিনিয়োগ করে আপনি প্রতি মাসে এক লক্ষ টাকা করে আয় করতে পারেন। তবে এজন্য আপনার নিজের কিছুটা ট্যালেন্ট প্রয়োজন।

আপনারা সকলেই জানেন ভারতের মহিলারা গহনা পড়তে কতটা বেশি পছন্দ করেন। একটা সময়ে বিশ্বের সবথেকে বেশি সোনার গয়না তৈরি হতো ভারতে এবং সারা বিশ্বের মানুষ এই ধরনের গয়না পড়তে বেশ পছন্দ করতেন। এখনকার দিনে ছবিটা কিছুটা পাল্টালেও, সোনার গয়না তৈরির দিক থেকে দেখতে গেলে ভারত এখনো বিশ্বের সেরা কয়েকটি দেশের মধ্যে একটি হয়ে রয়েছে। তবে এখনকার দিনে সোনার গয়না থেকেও বেশি চল শুরু হয়েছে ডিজাইনার হাতে তৈরি জুয়েলারির। এই ধরনের জুয়েলারি আজকাল ভারতে বহু মানুষ তৈরি করছেন এবং সারা বিশ্বের মানুষ এই ধরনের গয়না পড়তে বেশ পছন্দ করেন। ভারত থেকে সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ধরনের গয়না রপ্তানি করা হয়। তাই যদি আপনার এই ধরনের জুয়েলারি বানানোর কোন ট্যালেন্ট থাকে, তাহলে আপনি সহজেই এই ব্যবসা শুরু করে কোটিপতি হয়ে উঠতে পারেন। প্রত্যেকটি বুটিকে কাজ করার জন্য যে রকম কর্মীর প্রয়োজন, সেরকম একজন কর্মী নিয়োগ করলেই আপনার ব্যবসা আরও তাড়াতাড়ি গ্রো করতে শুরু করবে

আর এই ব্যবসার সব থেকে ভালো বিষয়টি হল, কলেজ পড়ুয়ারা এই গয়না তৈরি করতে পারেন। স্নাতক বা স্নাতকোত্তরের ছাত্রছাত্রীরা তাদের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সাথে তাদের নিজস্ব স্টার্টআপ শুরু করতে পারেন। আপনি তাদের গয়না তৈরির কাজ দিতে পারেন। অন্যদিকে, সেলস এবং মার্কেটিং এর কাজ আপনি দেখতে পারেন। এছাড়াও অবসরপ্রাপ্ত কর্মী, এবং বাড়ির গৃহবধুরাও এই কাজ শুরু করতে পারেন। কারোর কাছে ট্যালেন্ট থাকলেই এই কাজ করা যায়। আর এই ব্যবসা গ্রো করা খুব একটা কঠিন কিছু নয়।

কিভাবে উন্নতি করবেন এই ব্যবসায়?

১. প্রথমে আপনাকে জানতে হবে আজকালকার দিনে মানুষ কি রকম গয়না পড়তে পছন্দ করেন।
২. খুচরা এবং স্থায়ী বিক্রয়ের জন্য একটি ছোট দোকান খুলে বিষয়টা বোঝার চেষ্টা করুন।
৩. এরপর আপনার ব্যবসার জন্য একটি ওয়েবসাইট তৈরি করুন।
৪. Google বিজনেস এবং ইন্টারনেটে সব ধরনের ব্যবসায়িক ডিরেক্টরিতে আপনার দোকানটিকে তালিকাভুক্ত করুন।
৫. সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার ফেসবুক পেজ, ইনস্টাগ্রাম পেজ এবং হোয়াটসঅ্যাপ কমিউনিটি চ্যানেল তৈরি করুন।
৬. আপনি ই-কমার্স কোম্পানির মাধ্যমে দেশ ও বিশ্বে আপনার পণ্য বিক্রি করতে পারেন। অ্যামাজন এবং ফ্লিপকার্ট ছাড়াও কয়েক ডজন ই-কমার্স ওয়েবসাইট আপনার পণ্যের প্রচার করবে।
৭. আপনার এলাকায় অনুষ্ঠিত মেলা এবং প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করুন।
৮. নতুন গ্রাহকদের আকর্ষণ করতে ডিসকাউন্ট অফার করুন।
৯. প্রতিটি উৎসব এবং বিশেষ অনুষ্ঠানের জন্য নতুন নতুন ডিজাইন তৈরি করুন।

Related Articles

Back to top button