স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বিগত কয়েক দশক ধরে ভারতের সবথেকে নির্ভরযোগ্য এবং বিশ্বস্ত ব্যাংক হয়ে থেকেছে। সকলেই আস্থার সাথে এই ব্যাংকে একাউন্ট খোলেন। সবাই মোটামুটি বিশ্বাস করেন যদি স্টেট ব্যাংকে টাকা রাখা যায় তাহলে টাকা কোনভাবেই ক্ষতি হবে না। শেয়ারবাজারেও এই ব্যাংকের শেয়ারের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এসবিআই স্টক গত তিন বছরে ২০০ শতাংশ পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই আপনি যদি স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক থাকেন তাহলে আপনি স্টেট ব্যাংকের স্টক কিনতেই পারেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক স্টেট ব্যাংকের শেয়ার সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
স্টেট ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডাররা গত তিন মাসে প্রায় ৮.৬২ শতাংশ লাভ করতে পেরেছেন। একই সময়ে গত এক বছরে এসবিআই এর স্টক তার বিনিয়োগকারীদের এনে দিয়েছে ২৬ শতাংশ রিটার্ন। গত তিন বছরে ২০০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে এসবিআই স্টক। অর্থাৎ কোন ব্যক্তি যদি তিন বছর আগে এসবিআই স্টকে ১ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে থাকেন তাহলে এখন সেই টাকা ৩ লক্ষ টাকায় পরিণত হয়েছে। এই মুহূর্তে এসবিআই স্টক ৫৬৬ টাকার লেভেলে ট্রেড করছে শেয়ার মার্কেটে। এই বছর এসবিআই স্টক সব থেকে নিম্ন স্তরে পৌঁছেছিল যখন তার দাম হয়েছিল ৪৩০ টাকা। অন্যদিকে, বর্তমানে এসবিআই স্টক দাঁড়িয়ে রয়েছে এই বছরের সবথেকে উঁচু দরে। অর্থাৎ বলতে গেলে এখন যারা এসবিআই স্টক কিনবেন তাদের একটু বেশি টাকা বিনিয়োগ করতে হবে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowযদি আয়ের কথা বলা যায় তাহলে এসবিআই স্টক থেকে আপনি ৩৬ শতাংশ আয় করতে পারবেন এক বছরে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এসবিআই স্টক এখন বেশ ভালো ব্যবসা করছে শেয়ার মার্কেটে। আগামী এক বছরে প্রায় ৭৫০ টাকার স্তরে পৌঁছে যেতে পারে স্টেট ব্যাঙ্কের স্টক এর মূল্য। বাজারে স্টক ছাড়ার পর থেকেই স্টেট ব্যাংক একটা নিয়মিতভাবে লাভের মুখ দেখে এসেছে।
তাই যদি আপনি স্টেট ব্যাংকের স্টকে বিনিয়োগ করতে চান, তবে লক্ষ্য রাখুন কখন স্টেট ব্যাংকের স্টক এর দাম নিচের দিকে আসে। সেই সময় এই স্টকে বিনিয়োগ করে বেশ কিছুদিন সময় নিন। দেখবেন আপনার রিটার্নের পরিমাণ প্রায় তিন গুণ হয়ে গিয়েছে। তবে হ্যাঁ, এই ধরনের স্টক কিন্তু মাল্টি ব্যাগার স্টক। ভুল করেও পেনি স্টকের সাথে এই ধরনের স্টকে তুলনা করবেন না। আপনাকে খুব তাড়াতাড়ি রিটার্ন এই ধরনের স্টক দেবে না। সময় নিয়ে বিনিয়োগ করুন, এবং লাভ করার জন্য এসবিআই এর উপর ভরসা রাখুন।
