সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শেষ যাত্রায় সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতারা একসাথে মিশে সামিল হয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেই এই শোভাযাত্রা ঘিরে শুরু হলো রাজনীতি। বুধবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী অভিযোগ করলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সৌমিত্র বাবু র মরদেহ নিয়ে নাটক করেছেন। জীবিত থাকার সময় সৌমিত্র বাবুকে কোনরকম সম্মান দেওয়া হয়নি, কিন্তু তার মৃত্যুর পরে বাংলায় একটা নাটক হয়ে গেল। জীবিত অবস্থায় সৌমিত্র বাবু কে বিভিন্ন পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছিল। সেই নিয়েও কটাক্ষ করতে শোনা গেল অধীর চৌধুরীকে।
গত বুধবার সকাল বেলাপ্রয়াত শিল্পী সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের গল্প নিয়ে বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। সেখানে গিয়ে তিনি সৌমিত্র বাবু কে শ্রদ্ধা জানিয়ে তার কন্যা পৌলোমী বসুর সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। তারপর বেরিয়ে এসে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তিনি ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি অভিযোগ করেন সৌমিত্র বাবু মরদেহ নিয়ে রাজনীতি করা হয়েছে। এই সরকার তাকে আগে বিভিন্ন পদ থেকে অপসারণ করেছিল। তারপরে তাকেই এত সম্মান জানানো হচ্ছে।
অধীর আরও বলেন,” যেখানে তাকে অধিকার দেওয়া হয়েছিল, যে সমস্ত পথে থাকে বসানো হয়েছিল সেখান থেকে তাকে এটা করে অপসারিত করা হয়। ২০২০ সাল পর্যন্ত অনেক ছোটখাটো মাঝারি শিল্পীদের সম্মান দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে কোন রকম সম্মান জানানো হয়নি। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পরে মমতা সরকার সৌমিত্র বাবু কে সমস্ত জায়গা থেকে বঞ্চিত করে দিয়েছিল।”
প্রসঙ্গত, ক্ষমতায় আসার কিছুদিনের মধ্যেই সারা জীবনের অবদানের জন্য সৌমিত্র বাবুর হাতে মমতা সরকার তুলে দিয়েছিল চলচ্চিত্র পুরস্কার। এছাড়াও, ২০১৭ সালে সৌমিত্র বাবুকে বাংলার সর্বোচ্চ সম্মান বঙ্গবিভূষণ তুলে দেওয়া হয়। রাজ্য সরকারের কাছে অধীর চৌধুরী আর্জি রেখেছেন, যেন সৌমিত্র বাবুর জীবন্ত স্মৃতি ধরে রাখতে একটি অডিটোরিয়াম তৈরি করা হয়। এছাড়াও, তিনি জানিয়েছেন কেন্দ্রকে তিনি আর্জি রাখবেন যেন সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এর জন্য একটি চেয়ার সংরক্ষিত রাখা হয়।