প্রতিশ্রুতি পালন রাজ্য সরকারর। বাম ছাত্র যুব সংগঠন গুলির ডাকে নবান্ন চলো কর্মসূচীতে গিয়ে মৃত মইদুল ইসলাম মিদ্যার স্ত্রীর হাতে সরকারি চাকরির নিয়োগ পত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে মৃত ঐ বাম যুব কর্মীর কোতুলপুরের চোরকোলা গ্রামের বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রী আলিয়া বেগমের হাতে হোমগার্ড পদের নিয়োগ পত্র তুলে দেন শাসক শিবিরের বিধায়ক শ্যামল সাঁতরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক কে.রাধিকা আইয়ার। উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার কেটেশ্বর রাও । সাথে ছিলেন বহু সরকারি আধিকারিকরা।
আগের ১১ নভেম্বর সিপিআইএমের ছাত্র যুব সংগঠন গুলির ডাকে ‘নবান্ন চলো’ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে ডিওয়াইএফআই গোপীনাথপুর অঞ্চল কমিটির সম্পাদক মইদুল ইসলাম মিদ্যা। চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় কলকাতার এক হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। বামেদের তরফে পুলিশের হাতে আক্রান্ত হয়ে তাদের এই কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এমনটাই অভিযোগ তোলা হয় বাম শিবিরের পক্ষ থেকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মৃতের স্ত্রীকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দেন এবং এইদিন তা পূরণ করা হয়েছে বাংলার সরকারের পক্ষ থেকে।
মইদুলের মৃত্যুর পরে সিপিআইএম নেতা উজন চক্রবর্তীর সাথে টেলিফোনে কথাও বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) তথা তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি সব রকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানেই থামেননি গ্রামবাসীরা। লিখিত প্রতিশ্রুতির দাবি করেন তারা।
‘নবান্ন চলো’ কর্মসূচিতে মৃত মইদুল ইসলাম মিদ্যার বাড়িতে গিয়ে সিপিআইএম নেতা সুশান্ত ঘোষের হুঁশিয়ারি, দুর্ঘটনা নয়, মইদুলকে ‘পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে’। সে কোনও মন্ত্রীর চেয়ার কাড়তে বা নবান্ন দখল করতে যায়নি। সে সংবিধান স্বীকৃত অধিকারের দাবি নিয়ে আন্দোলন করতে গিয়েছিল। একই সঙ্গে ‘খুন করে আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবেনা’ দাবি করেন তিনি। প্রাক্তন মন্ত্রী ও পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতার প্রাক্তন বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ আরও বলেন, বামপন্থীদের খুন করে কোথাও আন্দোলন দমিয়ে রাখা যায়নি। আর ওই দিন যা ঘটেছে তার যোগ্য জবাব বাংলার ছাত্র যুবরা দেবেন।