সিএএর প্রতিবাদে পথে নামলেন পড়ুয়ারা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়–সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা এই মিছিলে পা মেলাচ্ছেন। সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক একটি মিছিল রাজপথে। শহিদ মিনার থেকে শুরু হয়ে এই মিছিল চলেছে মহাজাতি সদনের পথে। এই মিছিলের জন্য নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বিজেপির সদর দফতরে। নিরাপত্তার বেষ্টনীতে মুড়ে ফেলা হয়েছে মুরলীধর সেন স্ট্রিট। লালবাজারের বিশেষ টিম রয়েছে সেখানে। সাদা পোশাকের পুলিশের পাশাপাশি সাধারণ পোশাকেও রয়েছে প্রচুর পুলিশ। মোতায়েন করা হয়েছে বহু মহিলা পুলিশ।
কলকাতা পুলিশের কনট্রোল রুম থেকেও কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। মিছিলে অংশগ্রহণকারী পড়ুয়াদের দাবি, কোনওভাবেই দেশে সিএএ লাগু করা যাবে না। তাঁদের বক্তব্য, ধর্মের ভিত্তিতে কোনও বিভাজন ভারতবর্ষের সংবিধান বিরোধী। অথচ সেই সংবিধান বিরোধী বিষয়টিকেই ক্ষমতা প্রয়োগ করে আইনে পরিণত করেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। এই আইন প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে দাবি পড়ুয়াদের।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowআরও পড়ুন : CAA-র প্রতিবাদে লখনউয় যাচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল
আন্দোলনকারীদের কথায়, যাঁদের ভোটে ক্ষমতার মসনদে বসেছে বিজেপি, এখন তাঁদের কাছ থেকেই পরিচয়পত্র দাবি করছে। এ ধরনের দ্বিচারিতা ভারতে চলে না। রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে বিজেপি সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে জনস্বার্থ বিরোধী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বলেও অভিযোগ পড়ুয়াদের।
গত কয়েকদিন ধরে সিএএ, এনআরসি নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। বাংলা, বিহার, কর্নাটক, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি–সর্বত্র বিক্ষোভের আগুনের একই তেজ। ক্রমেই ক্ষোভ বাড়ছে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের মধ্যে। প্রতিবাদে পথে নেমেছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। কোনওভাবেই এই আইনকে তাঁরা কার্যকর হতে দিতে চান না। শনিবার পড়ুয়াদের মিছিলও সেই একই দাবিতে। বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি এসআরএফটিআইয়ের পড়ুয়ারাও পা মেলাচ্ছেন মিছিলে। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে রয়েছে বিরাট পুলিশবাহিনীও।