ছোটপর্দার জনপ্রিয়তম সঞ্চালিকা সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। প্রত্যেকদিন হাতা খুন্তি নিয়ে বিকেলে প্রিয় দর্শকদের সামনে হাজির হয়ে যায়জি বাংলার ‘রান্নাঘর এ। শুধু সঞ্চালিকা নয় সুদীপা একাধারে চিত্রনাট্যকার, পরিচালক। ‘ববির বন্ধুরা’ ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন তিনি। পাশাপাশি স্বামী পরিচালক-প্রযোজক অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায় এবং পুত্রদের নিয়ে ভরা সংসার সুদীপার। কাজের পাশাপাশি নিজের সংসার হল সুদীপার ধ্যান-জ্ঞান।
আজ অগ্নিদেবের সঙ্গে সুদীপা বিবাহবার্ষিকী।এই ১২ বছর ধরে ঘরে বাইরে সমান তালে সবকিছু সামলান সুদীপা। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও বেশ সক্রিয়।হাসি, মজা, ঝগড়া আর অনেক স্মৃতি নিয়ে এই লাভ বার্ডস বিবাহিত জীবনের বারোটি বসন্ত কাটিয়ে দিলেন। বার্ষিকীতে সামাজিক মাধ্যমে একটি আবেগঘন পোস্ট করেছেন সুদীপা। নিজেদের একটি সুন্দর একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, “এই কোভিড পরিস্থিতি বুঝিয়ে দিল করুনাময়ী ঈশ্বর কত দয়ালু। আশেপাশের খবর শুনে যখন মনে মনে প্রমাদ গোনার মতো করে বা বলা ভালো মন্ত্রের মতো আউড়ে যাচ্ছি; এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ নয়…। ঠিক তখনই উপলব্ধি হল বারোটা বছর পার করে দিলুম একসাথে। ঝগড়া, মান, অভিমান, রাগ, অনুরাগ কোনওটাই বাদ যায়নি। কিন্তু এর কোনওটাই আমাদের একে অপরের থেকে দূরে সরাতে পারেনি আজও। বেড়াতে যাওয়া ছাড়া, একটা দিনও আমি এ বাড়ি ছেড়ে থাকিনি, বা থাকতে পারিনি। সংসার করতে আমার বড় ভালো লাগে।”
সঞ্চালিকা আরো লেখেন, চারিদিকে করোনা পরিস্থিতিতে তাঁরা এই বিবাহবার্ষিকী উদযাপনের জন্য কোনো অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা করেননি। শুধু শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কালজয়ী রোম্যান্টিক কবিতা ‘বাঘ’ দিয়ে শেষ করলেন তার পোস্ট। লিখলেন,
“মেঘলাদিনে, দুপুরবেলা যেই পড়েছে মনে,
চিরকালীন ভালবাসার বাঘ বেরোলো বনে।
আমি দেখতে পেলাম, কাছে গেলাম, মুখে বললাম খা।
আঁখির আঠায় জড়িয়েছে বাঘ/ নড়ে বসছে না।”
এই আদুরে পোস্ট দেখে অনুগামীরাও ভালোবাসা জানিয়েছেন।
কিছুদিন আগেই নিজেদের বিয়ের সাজ শেয়ার করেছিলেন সুদীপা। ঠিক ১২ বছর আগে ৯ই জুলাই কাছের আত্মীয়দের নিয়ে বালিগঞ্জের বাড়িতেই পুরোহিত ডেকে নিয়ম করে বিয়ে করেছিলেন এই লাভ বার্ডস। হালকা বেনারসি, সোনার গয়না, ফুলের মালা এবং মাথাভর্তি সিঁদুরে নতুন কনে সুদীপাকে এদিন লাগছিল বেশ। আর এই সাবেকি সাজ দেখে অনেকে প্রশংসা করেছেন।