যতই করোনা চোখ রাঙাক চারিদিকে পুজো পুজো রব৷ প্রস্তুতি জোড়কদমে চলছে। বালিগঞ্জ প্লেসে চট্টোপাধ্যায় পরিবারে প্রত্যেক বছরের মতো এবছর ও মাতৃ আরাধনাতে মেতে উঠেছিল। প্রতিবছর এই চট্টোপাধ্যায় বাড়িতে বড় করে দুর্গাপুজোর আয়োজন করা হয়। টলিপাড়ার অনেক তারকাই পুজোর কদিন অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির দুর্গাপুজোর আনন্দে সামিল হতে দেখা গিয়েছে। তবে করোনার দাপটে গত দু’বছর পরিস্থিতি অনেকটাই আলাদা।
গতবছর শুধুমাত্র বাড়ির সদস্যদের নিয়েই আয়োজিত হয়েছিল সুদীপার বাড়ির দুর্গাপুজো। এবারেও করোনা আছে তবে করোনার ভ্যাক্সিন নেওয়াতে কিছুটা স্বস্তি আছে। তাই এবার লোকজনকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হচ্ছে। তবে কোভিড বিধি মেনে গুটিকতক লোকজনের মধ্যেই তা সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে চট্টোপাধ্যায় পরিবারের দুর্গাপুজো। অভিনেত্রী-সঞ্চালিকা সুদীপা চ্যাটার্জী ও তাঁর স্বামী অগ্নিদেব চ্যাটার্জীর আমন্ত্রণে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত এসেছিলেন তাঁদের বাড়ির পুজোয়। কিন্তু আড়াই বছরের আদিদেবের কিছুতেই পছন্দ হল না নায়িকাকে।
সুদীপার দুর্গাপুজোর আমন্ত্রণে এদিন ঋতুপর্ণার পরনে ছিল হলুদ রঙের তাঁতের শাড়ি পাড় মাল্টিকালার ও লাল রঙের ঘটি হাতা ব্লাউজ। আর গলায় ঝিনুকের গহনা আর কপালে লাল রঙের টিপ। এইদিন চট্টোপাধ্যায় পরিবারের নয়নের মণি আদিদেবের জন্য তিনি একটি বড় চকোলেট নিয়ে এসেছিলেন। ঋতুপর্ণা প্রথমে আদিকে নিজের কাছে ডাকলেও খুদে আদি কাছে যাবেনা তো৷ দুর্গাদালানে বসে ঋতুপর্ণা কত বার আদিকে কাছে ডাকলেন। আদিকে চেপে ধরে অভিনেত্রীর কাছে আসার অনেক চেষ্টা করলেন সবাই।
তবে চকোলেট পেয়ে বেজায় খুশি খুদে। ঋতুপর্ণাও সেই একবার কাছে পেয়ে আদিকে আদর করার চেষ্টা করলেন। কিন্তু আদিদেব কিছুতেই যেতে চাইলেননা। তবে সেই ফাঁকে তাঁর হাত থেকে চকলেট নিয়ে নিল সে। এই দিন আদিদেবের পরনে ছিল তুঁতে রঙের পাঞ্জাবি ও ছোট্ট ধুতি এবং পায়ে স্নিকার্স। আদিদেবের এই দুষ্টুমি ইন্সটাগ্রাম রিলের মাধ্যমে সকলের সামনে তুলে ধরেন সুদীপা। এদিন ঋতুপর্ণার নতুন পুজোর গান ‘ফুলমতি’ ব্যবহার করে ইন্সটাগ্রাম রিল বানিয়ে নিলেন সুদীপা। এই রিল ভিডিয়োটি বেশ ভাইরাল হয় নেট দুনিয়াতে।