সম্প্রতি সুহানা খান (suhana khan) ইন্সটাগ্রামে (instagram) নিজের একটি মিরর সেলফি পোস্ট করেছেন। সুহানাকে অত্যন্ত সুন্দরী লেগেছে এই ছবিতে। ছবিটি যথেষ্ট ভাইরাল (viral) হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেশ কিছু অশ্লীল মন্তব্যের শিকার হয়েছেন সুহানা। সামান্য লো নেক ড্রেস পরে সুহানা এই ছবিটি তুলেছেন। কিন্তু কিছু অনলাইন পোর্টাল ও নেটিজেনদের একাংশ সুহানাকে কটাক্ষ করে বলেছেন, এই ড্রেসে তাঁর যৌবন আঁটছে না। একবিংশ শতকে এসেও নারীর সৌন্দর্য বর্ণনা করার জন্য এই ধরনের শব্দ ব্যবহার করা কি খুব শোভনীয়? নাকি অনলাইন পোর্টালগুলির ভিউয়ারস বাড়ানোর জন্য এবং কিছু নেটিজেনদের স্পটলাইটে আসার কৌশল এটি? সোশ্যাল মিডিয়া যখন ছিল না, তখনও তারকাদের এবং তাঁদের সন্তানদের বিভিন্ন ছবি ফিল্ম ম্যাগাজিনে ছাপা হতো। কিন্তু তাতে এই ধরনের অশ্লীল ক্যাপশন ব্যবহার করা হতো না। ইদানিং সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধরনের ক্যাপশন ব্যবহার করার প্রবণতা ভীষণভাবে বেড়েছে।
কিছুদিন আগে সুহানা ফিরে গেছেন নিউ ইয়র্কে নিজের কলেজে। কলেজে গিয়েই ইন্সটাগ্রামে কলেজ লাইব্রেরির একটি ছবি শেয়ার করেছেন সুহানা। ছবিটি শেয়ার করে ক্যাপশন দিয়ে তিনি লিখেছেন, সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্ত।
তবে ইন্সটাগ্রামে নিজের পার্সোনাল প্রোফাইলের কমেন্ট সেকশন বন্ধ করে দিয়েছেন সুহানা। সুহানা ভারতে থাকাকালীন যখন নিজের ছবি পোস্ট করতেন, তখন তাঁকে প্রায়ই ট্রোল করা হতো তাঁর গায়ের রঙ নিয়ে। সুহানার বাবা শাহরুখ খান এর প্রতিবাদ করলে তাঁকে বলা হয়, তিনি যদি সত্যিই সুহানার গায়ের রং পছন্দ করেন তাহলে তিনি নিজে কেন পুরুষদের ফেয়ারনেস ক্রিমের বিজ্ঞাপন করেন! একসময় শাহরুখ ফেয়ারনেস ক্রিমের বিজ্ঞাপনটি করা ছেড়ে দেন। এই মুহূর্তে এই ক্রিমের বিজ্ঞাপন করছেন অভিনেতা সলমন খান। কিন্তু এই সব কিছুর ফলে নেতিবাচক প্রভাব থেকে নিজেকে দূরে রাখতে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের কমেন্ট সেকশন অফ করে দেন সুহানা খান।
সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাহরুখ জানিয়েছেন, সুহানাও অভিনয় করতে চান। তবে তার আগে সুহানা ও শাহরুখ দুজনেই মনে করেন, বিনোদন জগত নিয়ে পড়াশোনা করা খুব জরুরী। এছাড়া পেশাদার অভিনেত্রী হিসাবে কাজ শুরু করার আগে সুহানা কয়েক বছর অভিনয়ের ট্রেনিং নিয়ে তবেই অভিনয় জগতে পা রাখবেন বলে জানিয়েছেন শাহরুখ। ইতিমধ্যেই অ্যাসিড-আক্রান্তদের জন্য কাজ করতে শুরু করেছেন সুহানা।