Trending NewsAppleNYT GamesCelebrity NewsWordle tipsBig 12 SoccerCelebrity BreakupsKeith UrbanUnited Nations Day

করোনা গ্রাস করেছে শিল্পীর জীবিকা, সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেতা সুমিতের অসহায় পোস্ট

Updated :  Monday, July 12, 2021 11:13 AM

২০২০ থেকে করোনা গ্রাস করেছে বিনোদন জগতকে৷ অধিকাংশ সিনেমার কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে আবার কোথাও শুরু হলেও খুবই ধীর গতিতে চলছে৷ অন্যদিকে করোনার জন্য প্রেক্ষাগৃহ পাওয়া যাচ্ছেনা। এর মাঝে প্রতিটি ধারাবাহিকের কাজ শুরু হয়েছে ঠিকই, কিন্তু সেখানেও কড়া নিয়ম চালি হয়েছে। যার জন্য এখন ধারাবাহিকেও খুব একটা বেশি চরিত্রের প্রয়োজন হচ্ছে না। এর জেরে আজ অনেকে কাজ বন্ধ আছে৷ বহু পুরোনো কলাকুশলীর আজ কাজ হারিয়েছে। অনেকের কাজ চলে গিয়েছে আবার অনেকে অন্য পেশার খোঁজে।

অনেক কলাকুশলীদের কবে আবার কাজ পাবেন সেই আশা নিয়ে বসে আছেন৷ কিছু ছবি নতুন করে তৈরি হচ্ছে, তাও হাতে গোনা৷ এই কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি বহু শিল্পী। কারোরই মন ভাল নেই৷ কিন্তু কেউ কি ভেবে দেখেছেন আজ বহু সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছে এই শিল্পীরা। যারা সাধারণ মানুষের মনোরঞ্জন করেন, তাদের মনের খোঁজ কেউ কি রেখেছে? আদপে কেউ কারোর খোঁজ রাখেন না৷ এবার এইন নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন অভিনেতা সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়৷ ফেসবুকে একটি পোস্টে নিজের এবং সকল সহঅভিনেতা অভিনেত্রীদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেছেন তিনি৷

সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়কে মিঠুন, প্রসেনজিৎ, তাপস, জিৎ, দেব সকল স্টারদের সাথে কাজ করতে দেখা গিয়েছে এক সময়ে। বেশিরভাগ ছবিতে তাঁকে খলনায়কের চরিত্রেই দেখা গিয়েছে। তবে করোনার পর আর কোনো সিনেমা আর ধারাবাহিকে দেখা যায়নি। বেশিরভাগ সিনেমার শ্যুটিং যে বন্ধ৷ তাই অনেকের মতো সুমিতবাবুরও কাজ আজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে৷ তবে নিজের ফেসবুক পোস্টে শুধুমাত্র নিজের কথা বলেননি তিনি৷ নিজের সাথে অন্য শিল্পীদের দৈনদশার কথা উঠে এসেছে অভিনেতার পোস্ট৷ তাঁর কথায় শুধু যে শিল্পীদের উপার্যন নেই, তা নয়৷ সঙ্গে রয়েছে আরও অনেক বাধ্য বাধকতা৷

অভিনেতা লিখেছেন, খারাপ সময় শিল্পীরা সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফোটায় অভিনয়ের মাধ্যমে, কিন্তু শিল্পীদের দুঃখের সময় তাদের কথা কেউ ভাবেন না৷ তাই তো এই কঠিন সময়ে এই সব শিল্পীদের পাশে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়৷ তিনি আরো বলেন, ছোট আর মাঝারি শিল্পী বা টেকনিশিয়ানরা বাড়িভাড়া দিতে পারছেন না, খাবার খাওয়া পর্যাপ্ত টাকা নেই। অধিকাংশ ছেলে মেয়ে কলকাতার বাইরের জেলা গুলো থেকে লড়াই করতে আসে এই ইন্ডাস্ট্রিতে। বিপদে বাড়িও ফিরতে পারে নি। মুড়ি জল খেয়ে দিন কাটছে।

কোনো শিল্পীর পি এফ গ্রাচ্যুইটি পেনশান কিছু নেই। পেটে খাবার থাক না থাক হাসিমুখে সেজে গুজে থাকতে হয়, শুধু নিজের জীবিকাকে ভালোবেসে।কবে করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে আবার স্বাভাবিক হবে, তা কেউ জানে না৷ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ তছনছ করে দিয়েছে বহু সংসার৷ আজ অনেকে নিজের প্রিয়জনকে হারিয়েছে ৷ প্রিয়জনের সঙ্গে হারিয়েছে আয়ের পথ৷ এরপর আবারো চোখ রাঙাচ্ছে করোনার তৃতীয় ঢেউ৷ ফলে আতঙ্ক গ্রাস করেছে মানুষকে৷ এই অবস্থায় একে অপরের পাশে থেকেই একমাত্র ভরসা জোগাতে পারে৷ এই বিশ্বাসটুকু থাকা অত্যন্ত জরুরি৷