আবহবিদদের মতে এই ঘূর্ণিঝড় কিন্তু খুব ভয়ানক আকার নেবে। সব তছনছ করে দিতে পারে এই সুপার সাইক্লোন আমফান। এমনকি এর আগের ঝড়গুলির থেকেও এর ক্ষমতা অনেক গুন বেশি। নিমেষেই সব লন্ডভন্ড করে দিতে পারে। পশ্চিমবঙ্গের এই ঝড়ের প্রভাব বেশি পড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এই ঝড়ের গতিবেগ সব পুরানো রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে। ২০১৩ সালের ফাইলেনের থেকেও বেশি শক্তিশালী আমফান।
এমনকি ১৯৯৯ সালে যে ঝড় ওড়িশা ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বিশাল এলাকা ধ্বংস করে দিয়েছিল। এর ক্ষমতা আরও বেশি। বর্তমানে এই ঘূর্ণিঝড় প্রতি ঘন্টায় ১৪ কিলোমিটার বেগে স্থলভাগের দিকে আসছে। বর্তমানে এই ঘূর্ণিঝড় ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ৫৭০ কিলোমিটার দূরে এবং পশ্চিমবঙ্গের দিঘা থেকে ৭২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
১৯ তারিখ সকালের পর থেকে দুপুর পর্যন্ত ৫৫-৭৫ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইবে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায়। ২০ তারিখ সকালে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলা অর্থাৎ পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা এই জেলাগুলিতে ঝড়ের গতিবেগ ৭৫-৯৫ কিলোমিটার হবে। আর দুপুরের পর থেকে রাত পর্যন্ত ঝড়ের গতিবেগ বেড়ে ১৫৫-১৮৫ কিলোমিটার হবে। পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম এই জেলাগুলিতে ঝড়ের গতিবেগ ৫০-৬০ কিলোমিটার হতে পারে। এর সাথেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টিপাত হবে।