সারা দেশ এখন হাথরস নিয়ে উত্তাল, তার মাঝেই আজ এই নিয়ে মুখ খুললো সুপ্রিম কোর্ট। হাথরস-কাণ্ডে ওই দলিতকন্যার পরিবারকে যেন যথোপযুক্ত সুরক্ষা দেওয়া হয় সেকথা বলেন সুপ্রিম কোর্ট। এমনকি এই কাণ্ডে যাঁরা সম্ভাব্য সাক্ষী তাঁদেরও সুরক্ষা দেওয়ার কথা বলা হয়। সকলের অগোচরেই যোগী সরকার সুপ্রিম কোর্টকে হাথরস-কাণ্ডের সিবিআই তদন্তের অনুমতি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল সোমবার।
হাথরস কান্ড নিয়ে সারা ভারত জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। নির্যাতিতার মৃত্যুর পরিবারের আপত্তি অগ্রাহ্য করেই কিছু দিন আগেই ভোরে ওই যুবতীর দেহ সৎকার করে দেয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ৷ অন্য দিকে হাথরসের দলিত তরুণীকে মধ্যরাতে দাহ করার ঘটনায় কাঠগড়ায় উঠেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ এর নাম। এরই মধ্যে ফরেনসিক রিপোর্টের উল্লেখ করে যোগী রাজ্যের পুলিশের দাবি, তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়নি।
অন্যদিকে এই বিষয় মানতে নারাজ উত্তরপ্রদেশের আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটির জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সিএমও। ধর্ষণের অভিযোগের ১১ দিন পরে ওই তরুণীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এতদিন পরে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া সম্ভব নয়। ফলত ধর্ষণ হয়েছে কিনা তাও বোঝা সম্ভব নয়। এই ঘটনার পরেই প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন একাধিক বিরোধি দলের নেতা। তার মাঝেই এবার মুখ খুলেছে দেশের আইন ব্যবস্থা।
এছাড়াও মামলা শুনানির জন্য যা তালিকাভুক্তও হয়েছে, তার নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধান বিচারপতি এস ও ববদে। তিনি সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার কাছে জানতেও চেয়েছেন, ওই দলিত পরিবার কোনও আইনজীবী নিয়োগ করতে পারছে কিনা।