মইদুল কাণ্ডে পুলিশি আক্রমণকে ‘বর্বর’ আখ্যা দিলেন সিপিআইএম বাংলার রাজ্য কমিটির সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র (Surya Kanta Mishra)। নবান্ন অভিযানে আহত যুব নেতা DYFI কর্মী মইদুল ইসলামের মৃত্যু হয় সোমবার সকালে। বাম সংগঠনের তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল, নবান্ন অভিযানের দিনে পুলিশি লাঠিচার্জে গুরুতর জখমও হয়েছিলেন বাঁকুড়ার কোতুলপুরের বছর ৩১ এর মইদুল। সোমবার তথা আজ নার্সিংহোম সূত্র হতে জানা গিয়েছে পুলিশের লাঠির আঘাতে প্রস্রাব দিয়ে রক্ত বেরয়েছিল সেই দিন। মটিতে লুটিয়ে পড়েন মইদুল। এরপর থেকেই তার অবস্থান অবনতি হতে থাকে।
১১ ফেব্রুয়ারির নবান্ন অভিযানের পরপরই সেদিনের পুলিশের আচরণের তীব্র সমালোচনা হয়। এর পর সোমবার তথা আজ মইদুলের অকালমৃত্যু নিয়ে রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলি শাসকদলের আর একদফা সমালোচনা করে। এদিন শাসকদলের তীব্র সমালোচনা করেছে সিপিআই(এম)-ও। লাল শিবির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র মইদুলের মৃত্যুর সূত্রে সোমবার তথা আজ দীর্ঘ এক বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে সেদিনের পুলিশি আক্রমণকে তিনি ‘বর্বর’ অ্যাখ্যা দেন। কমরেড মইদুল ইসলাম মিদ্যার পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে তাঁকে ‘শহিদ’ সম্মানেও অভিনন্দিত করেন সূর্যকান্ত মিশ্র।
বাংলার লাল শিবিরের পক্ষ থেকে সূর্যকান্ত মিশ্র দাবি তোলেন, শহিদ কমরেড মিদ্যার মরদেহের ময়না তদন্তের কাজ যাতে সঠিক ভাবে করা হয়, সরকার তরফ থেকে তা নিশ্চিত করা হোক। তিনি সেই কাজের পূর্ণ ভিডিও রেকর্ডিংয়েরও দাবি তুলেছেন। দাবি তোলেন মইদুলের মৃত্যুর জন্য দায়ী পুলিশ আধিকারিকদের খুঁজে তাদের কঠোর শাস্তিরও। বিবৃতিটিতে সূর্যকান্ত জানান, যেভাবে তৃণমূল সরকারের পুলিশি বর্বরতায় শান্তিপূর্ণ গণ আন্দোলনের কর্মীকে প্রাণ দিতে হল তাকে ধিক্কার জানানোর কোনও ভাষা নেই। ছাত্রযুবদের প্রতি সরাসরি সমর্থন জানিয়ে তিনি জানান, এই বর্বরতার বিরুদ্ধে ছাত্রযুবদের প্রতিবাদ কর্মসূচিকে পার্টি সমর্থন করছে। বিবৃতির শেষে এসে সম্পাদক পরিষ্কার করে দেন এ বিষয়ে এই মুহূর্তে পার্টির ভাবনা। পার্টির পক্ষ থেকে বাম গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিগুলিকে যুক্ত করে ছাত্রযুবদের প্রতিবাদ কর্মসূচির প্রতি সংহতি জানানোর কথা উল্লেখ করেছেন তিনি।