দেখতে দেখতে একটা বছর কেটে গেল। অভিশপ্ত সেই দিনটা আবারও ফিরে এল এইবছর ও। তবু মানুষ বিশ্বাস করতে পারছেনা। সুশান্ত সিং রাজপুত তিনি আর এই পৃথিবীতে নেই। অভিনেতার অনুগামীদের কাছে এ যেন এক ভয়ংকর দিন। এই ১৪ তারিখ রবিবারের টাটকা দুপুরেই হঠাৎ খবর আসে অভিনেতা নিজের বাড়িতে ফ্যানের সিলিং এ আত্মঘাতী হয়েছেন। তাঁর চলে অভিনেতার পরিবার আর অনুগামীর কাছে অবিশ্বাস্য ঘটনা। গত বছর রবিবার দুপুরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে নিউজ প্রতিস্থাপকরা বলছেন ‘ধোনি’, ‘ব্যোমকেশ’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করা সুশান্ত সিং রাজপুত আর নেই।
অভিনেতার মৃত্যুর পর বলিউডের নেপোটিজম বিতর্ক সকলের সামনে আসে। এই গোটা এক বছরে একাধিক ফ্যানক্লাব খোলা হয়েছে অভিনেতার নামে। অভিনেতার রহস্য মৃত্যুর বিচার চেয়েছেন সারা ভাররবাসী। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল অভিনেতা বেঁচে থাকার সময় কি আদৌ এত ভালোবাসা পেয়েছিলেন মানুষের থেকে? নাকি সিনে পরিচালকের থেকে? এ প্রশ্ন এখনও যেন ঘোরাফেরা করে সকলের মনে। সকলের প্রিয় অভিনেতা একের পর এক ছবি থেকে বাদ পড়েছিলেন একদিন।
করণ জোহর, করিনা সোনম কাপুরের মতো এ-লিস্টার তারকারা প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছিলেন এই অভিনেতার। অতীতে কোন কোন ছবি থেকে বাদ পড়েছিলেন সুশান্ত, আর তার কারণই বা কী ছিল। কোন কোন ছবি থেকে বাদ পড়েছিলেন অভিনেতা?
‘রোমিও আকবর ওয়াল্টার’ সিনেমার টিজারে দেখা পাওয়া গিয়েছিল অভিনেতা সুশান্তের। কিন্তু পরে জানা যায় ছবিতে কাজ করছেন সুশান্তের পরিবর্তে জন আব্রাহম। অবশ্য এই দায় সুশান্ত নিয়েছিলেন নিজের ঘাড়েই। জানিয়েছিলেন সিনেমার তারিখ নিয়ে সমস্যা হওয়ায় তিনি এই ছবি থেকে সরে এসেছিলেন। একইভাবে তারিখ সমস্যার জন্য হাতছাড়া হয়েছিল ‘হাফ গার্লফ্রেন্ড ‘ও।
‘ফিতুর’ ছবির জন্যও নাকি প্রথমে ভাবা হয়েছিল সুশান্তের নাম। এই ছবির পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন তাঁর প্রথম ছবি ‘কাই পো চে’-র পরিচালক অভিষেক কাপুর। তবে এই সিনেমাতে শেষ পর্যন্ত তাঁকে নেননি। তারপর অবশ্য ফের ‘কেদারনাথ’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন পরিচালক-অভিনেতা।
পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালির ‘রাম লীলা’, ‘পদ্মাবত’ এবং ‘বাজিরাও মাস্তানি’র এই তিন সুপারহিট ছবির জন্য প্রথম পছন্দ করেছিলেন সুশান্তকেই। জানা গিয়েছিল, ডেটের সমস্যার জন্য ওই ছবিগুলোতে কাজ করা হয়নি সুশান্তের সাথে। সুশান্তের মৃত্যুর পর নিজের বয়ানে এমনটাই জানিয়েছিলেন পরিচালক। তবে এই সিনেমা কেন হয়নি তা সুশান্ত বলেননি।