‘দিশার মৃত্যু কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারেনি সুশান্ত। শুধুই কেঁদে চলেছিল। একসময় অজ্ঞানও হয়ে পড়ে। আমার আর সুশান্তের দিদির সামনেই সবটা ঘটেছে ‘- ঠিক এমনটাই জানিয়েছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুতের কাছের বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানি। উল্লেখ্য, সুশান্তের পুরনো ম্যানেজার অসুস্থ হয়ে পড়ায় দিশাই আবার সব সামলাচ্ছিলেন। কিন্তু গত ৮ই জুন দিশা সালিয়ানের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসে। মালাডের বহুতলের নিচে দিশার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। ঠিক তাঁর কিছুদিন পরেই অর্থাৎ ১৪ ই জুন সুশান্ত সিং রাজপুতের দেহ উদ্ধার হয় তারই ফ্ল্যাট থেকে। দুটি ঘটনাই আত্মহত্যা বলে চালায় মুম্বাই পুলিশ।
এরপর সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে জলঘোলা হলে ফের চাঙ্গা হয়ে ওঠে দিশা সালিয়ানের মৃত্যুর কেস। উল্লেখ্য, দিশার মা বাবা উভয়েই তাঁদের মেয়ের মৃত্যুকে নিছক আত্মহত্যা বলেই দাবি করেছিলন, এমনকি পুলিশের কাছেও কোন অভিযোগ করেননি তাঁরা।
উল্টোদিকে দিশার মৃত্যুর খবর শুনে দিশার ঘনিষ্ঠ বন্ধু রেশমি দেশাই বলেন, তাঁদের সম্প্রতি সিমলা যাওয়ার প্ল্যান ছিল। তিনি সংবাদমাধ্যমে জানান, “দিশার আত্মহত্যার খবর পেয়ে খুব অবাক হয়েছিলাম ৷ ভাবতেই পারিনি এরকমটা হতে পারে ৷ আসলে, তাঁর আগের দিনই আমাদের কথা হয় ৷ সিমলা যাওয়ার প্ল্যান বানিয়েছিলাম আমরা আর তা নিয়েই আলোচনার জন্য দেখা করার কথা ছিল আমাদের ৷ তবে হঠাৎ করে ওর মৃত্যুর খবরে চমকে যাই ৷ একটা মেয়ে যে ঘোরার প্ল্যান করে, সে কীভাবে আত্মহত্যা করতে পারে?”
এর পাশাপাশি যেই খবর সামনে আসে তা হল, দিশার মৃত্যুর কিছু ঘণ্টা আগে দিশা ১০০ ডায়াল করেছিলেন। যদি তিনি আত্মহত্যাই করে থাকেন তবে কেন তিনি ১০০ ডায়াল করবেন? আদৌ কি দিশা আত্মহত্যা করেছিলেন নাকি তাঁকেও খুন করা হয়েছিলো? এই নিয়েই প্রশ্ন রাখেন বিজেপি সাংসদ নিতিশ রানে।
চলুন দেখে নিই দিশার লাস্ট পার্টির ভিডিও।